পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে অবস্থিত। এটি পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। সেতুটি মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত করেছে।
পদ্মা সেতুর ভৌগলিক অবস্থান
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি গর্ব। এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সাথে সংযুক্ত করেছে। এটি পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত এবং বিশ্বের কততম সেতু।
স্থানাঙ্ক ও ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য
পদ্মা সেতুর অবস্থানাঙ্ক ২৩°২৬′৩৯″ উত্তর ৯০°১৫′৪০″ পূর্ব। এটি মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার মধ্যে সংযুক্ত। এটি পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত।
সংযুক্ত জেলাসমূহ
- মুন্সিগঞ্জ
- শরীয়তপুর
- মাদারীপুর
নদী সংযোগ বিবরণ
পদ্মা সেতু পদ্মা নদীর উপর নির্মিত। এটি পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলকে সংযুক্ত করে। দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং গভীরতা ১৮.১০ মিটার।
পদ্মা সেতুর কারিগরি বিবরণ
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এটি ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এবং ৪২টি পিলার সহ। এটি ভূমিকম্পনের সময় সহনশীল এবং ইস্পাত ও কংক্রিট দিয়ে নির্মিত।
উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক আছে। নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। নির্মাণ কাজ ২০২২ সালের জুন মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে রেল লাইন নির্মাণ শুরু হবে।
বৈশিষ্ট্য | বিবরণ |
---|---|
মোট দৈর্ঘ্য | ৬.১৫ কিলোমিটার |
পিলার সংখ্যা | ৪২টি |
ভূমিকম্পন সহনশীলতা | ৯ মাত্রা |
নির্মাণ উপকরণ | ইস্পাত এবং কংক্রিট |
সড়ক ও রেলপথ | উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক, নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ |
প্রকল্পটি প্রাকৃতিক পরিস্থিতির সমস্যার মধ্যেও চলমান ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে প্রকল্পটি গ্রহণ করেন। এরপর বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ২০২২ সালের জুন মাসে কাজ শুরু হয়।
নির্মাণকালে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। সকল পক্ষকে সম্মানিত করবেন।
সেতুর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ
পদ্মা সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রাস সেতু। এতে ৪১টি স্প্যান রয়েছে, প্রতিটি লম্বায় ১৫০.১২ মিটার এবং চওড়ায় ২২.৫ মিটার। এটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত এবং বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু। পদ্মা সেতুর খরচ কত বিলিয়ন ও পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় কত ২০২৩ এই প্রতিবেদনে জানতে পারবেন।
কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য
পদ্মা সেতু ট্রাস সেতু ধরনের কাঠামো নিয়ে নির্মিত। ট্রাস কাঠামো সেতুর কর্তব্য বহন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ট্রাস কাঠামো অত্যন্ত শক্তিশালী।
এটি প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা এবং ভাঙ্গন-বিদ্ধংসের বিরুদ্ধে অতি দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
নির্মাণ সামগ্রী
- পদ্মা সেতু কংক্রিট ও স্টিলের মিশ্রণ দিয়ে নির্মিত হয়েছে।
- কংক্রিটকে সেতুর প্রধান সুরক্ষামূলক উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
- সেতুর স্ট্রাকচারে স্টিলের ব্যবহার করা হয়েছে যাতে এর শক্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।
সহনশীলতা ক্ষমতা
পদ্মা সেতু অত্যন্ত সহনশীল কাঠামো নিয়ে নির্মিত। এটি প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা এবং ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সহজেই সহ্য করতে পারে।
সেতু কাঠামোর এই সহনশীলতা ক্ষমতা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
বৈশিষ্ট্য | বিবরণ |
---|---|
দীর্ঘতা | ৬.১৫ কিলোমিটার |
চওড়া | ২২.৫ মিটার |
স্প্যান সংখ্যা | ৪১টি |
স্প্যানের লম্বা | ১৫০.১২ মিটার |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ১২৮ মিটার |
নির্মাণ উপকরণ | কংক্রিট ও স্টিল |
পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত
পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া উপজেলা এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মধ্যে অবস্থিত। এটি পদ্মা নদীর উপর নির্মিত। এটি মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর এই তিনটি জেলাকে সংযুক্ত করেছে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের 21টি জেলাকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছে। এই সেতু খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের প্রায় 6 কোটি মানুষকে সুবিধা প্রদান করবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে জাজিরা থেকে বরিশাল যাওয়ার সময় দুই ঘণ্টায় সংকুচিত হবে। একইভাবে খুলনা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় এবং ফরিদপুর পর্যন্ত ৫০ মিনিটে যাওয়া সম্ভব হবে। বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় ৩-৩.৫ ঘণ্টায় সংকুচিত হবে।
মোটর সাইকেল | 100 টাকা |
---|---|
গাড়ি/জীপ | 750 টাকা |
পিকআপ | 1200 টাকা |
মাইক্রোবাস | 1300 টাকা |
মিনি বাস | 1400 টাকা |
বড় বাস | 2400 টাকা |
ট্রাক (৫-৮ টন) | 2100 টাকা |
ট্রেলার (৪ এক্সেল) | 6000 টাকা |
পদ্মা সেতু মাধ্যমে গ্যাস পাইপলাইন, ফাইবার অপটিক, টেলিকমিউনিকেশন ডাক্ট এবং হাই-ভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন সংযুক্ত হবে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সম্প্রদায়গুলিকে উপকৃত করবে।
সেতুর পরিমাপ ও আয়তন
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। এর প্রস্থ ১৮.১৮ মিটার। সেতুর ডায়াডাক্ট ৩.১৮ কিলোমিটার এবং নদী শাসনের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। এই বিশাল সেতুটিতে মোট ৪১টি স্প্যান রয়েছে। প্রত্যেকটি ১৫০.১২ মিটার লম্বা এবং ২২.৫ মিটার চওড়া।
পদ্মা সেতুর আকারগত বৈশিষ্ট্যগুলি যথাযথভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি যানবাহন ও প্রচুর পরিমাণে মানুষের যাতায়াত নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে পারে। সেতুটির নির্মাণ প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য | পরিমাণ |
---|---|
মোট দৈর্ঘ্য | ৬.১৫ কিলোমিটার |
প্রস্থ | ১৮.১৮ মিটার |
ডায়াডাক্ট দৈর্ঘ্য | ৩.১৮ কিলোমিটার |
নদী শাসনের দৈর্ঘ্য | ১২ কিলোমিটার |
মোট স্প্যান সংখ্যা | ৪১টি |
প্রত্যেক স্প্যানের দৈর্ঘ্য | ১৫০.১২ মিটার |
প্রত্যেক স্প্যানের প্রস্থ | ২২.৫ মিটার |
পদ্মা সেতুর মাপ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ হওয়ার পর, এই বিশাল অবকাঠামোটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গর্বিত প্রকল্প হয়ে উঠেছে। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
যানবাহন ব্যবস্থা ও লেন সংখ্যা
পদ্মা সেতু পেরিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন যানবাহন ব্যবস্থা আছে। উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক রয়েছে। এটি মোটরযান, বাস, ট্রাক সহ সকল ধরনের যানবাহনের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। এটি ঢাকা-যশোর রেলপথের অংশ হিসেবে কাজ করে।
সড়ক যানবাহন ব্যবস্থা
পদ্মা সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক রয়েছে। এখানে প্রতিদিন প্রায় 24,000 এবং তার বেশি যানবাহন চলাচলা করে।
মোটরসাইকেলের টোল 100 টাকা। বাসের টোল 2,000 টাকা। ট্রাকের টোল ভিত্তি অনুযায়ী 1,600 থেকে 2,800 টাকা।
রেল সংযোগ বিবরণ
পদ্মা সেতুর নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। এই রেল লাইনটি মিটারগেজ ও ব্রডগেজ উভয় ধরনের।
এভাবে পদ্মা সেতু বাংলাদেশের এক নৈশ্রেষ্ঠ অবকাঠামোগত অর্জন। এটি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
নির্মাণ প্রক্রিয়া ও সময়কাল
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৩ জুন এটি সম্পূর্ণ হয়। সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান বসানো হয় ১০ ডিসেম্বর ২০২০।
সেতুটি ২৫ জুন ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। এবং ২৬ জুন ২০২২ সালে চালু হয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০টি দেশের লোক জড়িত ছিলেন। এইসিওম নকশার দায়িত্ব নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পালন করেছিল।
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ছিল অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। নিউজিল্যান্ডের রবার্ট জন এভস তদারকি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
পদ্মা সেতুর খরচ কত বিলিয়ন এবং পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় কত ২০২৩ বিশদ জানার জন্য অর্থায়ন বিষয়ক উপসংহার দেখুন।
অর্থায়ন ও ব্যয় বিবরণ
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বড় প্রকল্প। এটির মোট খরচ ছিল ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি টাকা। এটি বাংলাদেশ সরকার নিজেই দিয়েছে।
সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। এতে ৪২টি পিলার এবং ৪১টি স্প্যান রয়েছে। সড়কের দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার। নদী শাসনের জন্য ৮,৭০৭.৮১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
প্রকল্পে ৪ হাজার জন কাজ করেছে। মূল সেতুর খরচ ছিল ২৮,৭৯৩.৩৯ কোটি টাকা। অন্যান্য খরচ ছিল ১,৪০০ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতুর বেশিরভাগ অর্থ বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে। পদ্মা সেতুর খরচ কত বিলিয়ন এবং পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় কত ২০২৩ এর বিবরণ হলো, মোট খরচ ছিল ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্পের জন্য সকল অর্থ নিজেই দিয়েছে। এই প্রকল্পের শুরু থেকে বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার কোনো আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এই বড় প্রকল্পটি নিজের অর্থায়নে সম্পন্ন করেছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ সেতু থেকে আয় দিয়ে কভার করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ
পদ্মা সেতুর দেখাশোনা করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতু বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এই কাজের উপর দৃষ্টি রাখছে। এটির জীবনকাল হল ১০০ বছর।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা
১ জুলাই, ২০২৪ থেকে পদ্মা সেতুর দেখাশোনা করবে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্স কোম্পানি পিএলসি’। এই কোম্পানি পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের দায়িত্ব নিয়েছে।
কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সাথে চুক্তি করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, পাঁচ বছরের জন্যে এই কাজ করা হবে।
রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি
- সেতু বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি ১৪ জনের থাকবেন যারা জনবলের কাঠামো নির্ধারণ করবেন।
- পদ্মা সেতু থেকে যানবাহন চলাচল থেকে আয় জমা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাবে গঠিত হবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি ছোট জেলায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের কততম সেতু এবং পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি সবাই জানে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে।
অর্থনৈতিক প্রভাব
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলাকে সংযুক্ত করবে। এটি দেশের উত্তর-দক্ষিণ প্রান্তকে যুক্ত করবে। পদ্মা সেতু কোন বিভাগে অবস্থিত এই সেতুর নির্মাণে বিশ্বব্যাংক বলেছে, এটি জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারকে ১.২ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে।
পদ্মা সেতু কোন নদীর উপর অবস্থিত, এই সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। সেতুর পাশে দুই পাড় পর্যটনকেন্দ্র হবে। এগুলো প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটককে আকর্ষণ করবে।
পদ্মা সেতু চালুর ফলে বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্প বিকাশ পাবে। ব্যবসায়ীদের জন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহণ সম্ভব হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। কিন্তু এর ভূমিকা দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের সবার দায়িত্ব।
পরিমাণ | বিবরণ |
---|---|
৩.৮ বিলিয়ন ডলার | পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমানিত ব্যয় |
৩০,০০০+ | নির্মাণ পর্যায়ে সৃষ্ট কর্মসংস্থান |
১.২% | পদ্মা সেতু চালুর ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার বৃদ্ধি |
১৫,০০০ | প্রতিদিন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের পরিমাণ |
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
পদ্মা সেতু নির্মাণ সফল হওয়ার পর, বাংলাদেশ সরকার দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এই নতুন সেতু পাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) ও গোয়ালন্দ (রাজবাড়ি) জেলাকে সংযুক্ত করবে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬.১০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার হবে।
এই প্রকল্পের মোট ব্যয় এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু পদ্মা সেতুর মতো এটির খরচ কিছু বিলিয়ন টাকা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকার এই প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছে। নিহায় প্রয়োজনীয়তা এবং সম্ভাব্যতা বিশ্লেষণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বড় প্রকল্পের পর একটি নতুন প্রকল্প শুরুর বিষয়ে সতর্ক সংকেত দিয়েছেন।
তাই এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা ও সুরক্ষা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংকেত দিয়েছেন যে, পাটুরিয়া-আরিচা রুটে একটি নতুন ফেরি টার্মিনাল নির্মাণও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর জন্য বিভিন্ন প্রকৌশল বিষয়ক কাজ চলছে।
এ পর্যন্ত যতটুকু প্রকল্পের ব্যয়ের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় কিছু বিলিয়ন টাকা হতে পারে।
এর সাথে, দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর ব্যয় কেমন হবে, কতটুকু ফলাফল (Return on Investment) আসবে এবং এই প্রকল্পটি কতটা প্রয়োজনীয় তা এখনই বিশ্লেষণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই বিষয়গুলি যখন পরিষ্কার হবে, তখন দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পর্কে সরকার জনগণকে জানাবে।
বিশ্ব রেকর্ড ও স্বীকৃতি
পদ্মা সেতু বিশ্বের বৃহত্তম সেতুগুলির মধ্যে একটি। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রাস (Truss) সেতু হিসেবে স্বীকৃত। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সড়ক সেতুর তালিকায় 25তম স্থানে রয়েছে।
এছাড়াও, এটি দক্ষিণ এশিয়ার 6ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
পদ্মা সেতু বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সড়ক সেতুর তালিকায় অন্যতম স্থান দখল করেছে।
এটি দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ সেতুগুলির মধ্যে একটি হিসাবে গণ্য হয়।
বিশ্ব রেকর্ডসমূহ
পদ্মা সেতু বিশ্বের গভীরতম পাইলযুক্ত সেতু হিসাবে পরিচিত। এর পাইলের গভীরতা 128 মিটার।
এটি বিশ্বের গভীরতম পাইলযুক্ত সেতু। এছাড়াও, এটি বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রাস (Truss) সেতু হিসাবেও স্বীকৃত।
FAQ
পদ্মা সেতু কোন বিভাগে অবস্থিত?
পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার মধ্যে অবস্থিত।
পদ্মা সেতু কোন নদীর উপর অবস্থিত?
পদ্মা সেতু পদ্মা নদীর উপর অবস্থিত।
পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু?
পদ্মা সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রাস (Truss) সেতু।
পদ্মা সেতুর খরচ কত বিলিয়ন?
পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় কত ২০২৩?
পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত?
পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১৮ মিটার।
পদ্মা সেতু কত কিলোমিটার?
পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি?
পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলার রয়েছে।