বাচ্চা নেওয়ার আগে কি কি টেস্ট করা উচিত – জেনে নিন

সন্তান নেওয়া একটা সুখের সময়। কিন্তু কতগুলি দম্পতি সন্তান নিতে সমস্যায় পড়ে। বাচ্চা নেওয়ার আগে কি কি টেস্ট করা উচিত এবং গর্ভাবস্থার জটিলতা এড়াতে সাহায্য করে।

এসব সমস্যা ওজনাধিক্য, জেনেটিক পরীক্ষা, ইনফারটিলিটি পরীক্ষা দ্বারা হয়ে থাকে।

মূল বিষয়গুলি:

  • প্রসবপূর্ব স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলি স্বাস্থ্য সমস্যার স্ক্রীনিং ও নির্ণয়ের জন্য
  • প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা শুরু করা জরুরি
  • জেনেটিক পরীক্ষা বংশগত রোগ নির্ণয়ের জন্য
  • ইনফারটিলিটি পরীক্ষা গর্ভধারণের সমস্যা সনাক্তকরণে
  • মাতৃ ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ

সন্তান নেওয়ার আগে করণীয় পরীক্ষাগুলি

সন্তান ধারণ করার আগে কিছু বিশেষ পরীক্ষা করা দরকার। এই পরীক্ষাগুলি মায়ের এবং ভবিষ্যৎ সন্তানের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।

থাইরয়েড পরীক্ষা

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হরমোনের স্তর পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই হরমোনের স্তর যদি সঠিক না হয়, তাহলে গর্ভপাত এবং নবজাতকের মস্তিষ্কের বিকাশে ক্ষতি হতে পারে। তাই সন্তান ধারণের আগে থাইরয়েড পরীক্ষা করা উচিত।

রক্ত পরীক্ষা

রক্ত পরীক্ষায় সিফিলিস, এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এর অবস্থা নির্ণয় করা হয়। এছাড়া রক্তের সিবিসি পরীক্ষায় মায়ের স্বাস্থ্যের অন্যান্য দিক পর্যালোচনা করা হয়।

প্রস্রাবের পরীক্ষা

প্রস্রাবের পরীক্ষায় রক্তে শর্করা, প্রোটিনের পরিমাণ এবং ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন নির্ণয় করা হয়। এই পরীক্ষাগুলি মায়ের এবং ভবিষ্যৎ সন্তানের স্বাস্থ্য নির্ণয়ে সাহায্য করে।

পরীক্ষার নামলক্ষ্য
থাইরয়েড পরীক্ষাথাইরয়েড গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হরমোনের স্তর পরীক্ষা
রক্ত পরীক্ষাসংক্রামক রোগ মূল্যায়ন, সিবিসি পরীক্ষা
প্রস্রাবের পরীক্ষারক্তে শর্করা ও প্রোটিনের পরিমাণ এবং ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন নির্ণয়

সন্তান ধারণের আগে উপরোক্ত পরীক্ষাগুলি করা গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষাগুলি মায়ের এবং ভবিষ্যৎ সন্তানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নির্ণয় করে। এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।

প্রিনাটাল স্ক্রিনিং পরীক্ষা

গর্ভধারণের সময় মা এবং তার অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রিনাটাল স্ক্রিনিং পরীক্ষাগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসব পরীক্ষা মাতৃ রক্ত, ডায়াবেটিস, সংক্রামক রোগ এবং ভ্রূণের বিকাশ সম্পর্কে তথ্য দেয়। এগুলি সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্ত করে আগাম পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ দেয়।

এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বাছাই টেস্ট: ডাউন সিনড্রোম (ট্রিসোমি 21), এডওয়ার্ডস সিনড্রোম (ট্রিসোমি 18) এবং পাটাউ সিনড্রোম (ট্রিসোমি 13) সংক্রান্ত বাছাই টেস্ট।
  • জেন্ডার বাছাই: এক্স, ওয়াই ক্রোমোসোম বাছাই পরীক্ষা যা অনাগত শিশুর লিঙ্গ নির্ণয় করে।
  • নন-ইনভেসিভ প্রিনাটাল পরীক্ষণ (NIPT): মাতৃ রক্ত থেকে ভ্রূণের জিনগত বিশ্লেষণ, যা ক্রোমোসোমাল বিকৃতির সম্ভাবনা নির্ণয় করে।
  • তালাসিমিয়া পরীক্ষা: প্রসবপূর্ব গর্ভবতী মায়ের রক্ত পরীক্ষা করে তালাসিমিয়ার মূলরাগী বা প্রভাবিত হিসাবে শনাক্ত করা।

এসব প্রিনাটাল স্ক্রিনিং পরীক্ষার ফলাফল গর্ভবতী মা এবং অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি সম্ভাব্য সমস্যাগুলি শনাক্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ দেয়।

প্রিনাটাল স্ক্রিনিং পরীক্ষাগুলি গর্ভাবস্থায় মাতা এবং শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি কুলুঙ্গর ভূমিকা পালন করে।

বাচ্চা নেওয়ার আগে জেনেটিক পরীক্ষা

অনেক জুট রয়েছেন যারা নিজেদের অজান্তে কোনও জেনেটিক ডিসঅর্ডারের বাহক। এই অবস্থায় বাচ্চা নেওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের পরামর্শমতো জেনেটিক পরীক্ষা করে নিতে হবে। এছাড়া ভ্রূণের বিকৃতি যাচাই করার জন্য ভ্রূণ পর্যবেক্ষণ পরীক্ষাগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

More: মেয়েদের বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

জিনগত রোগের যাচাই

প্রতিদিন গড়ে বাংলাদেশে 15 জন ডাউন সিন্ড্রোমযুক্ত শিশুর জন্ম হয়। উন্নত দেশগুলোতে প্রতিটি মায়েরই গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যে ডাউন সিন্ড্রোম সহ যেকোন ভ্রূণ বিকৃতির জন্য পরীক্ষা করানো অবশ্যই পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পূর্বনাতাল পরীক্ষা করিয়ে প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা খরচ হয়, যা পূর্বের পদ্ধতি থেকে অনেক কম।

ভ্রূণের বিকৃতি নির্ণয়

যদি আগের সন্তানে ডাউন সিন্ড্রোম থাকে, এবং মা ৩০ বছরের বেশি বয়সী হন, তাহলে পরবর্তী গর্ভাবস্থায় ডাউন সিন্ড্রোম হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। চিহ্নিতকরণ এই ঝুঁকি আন্দাজ করে ভ্রূণকে পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেয়।

যদি তিন বিশেষজ্ঞ একমত হন যে গুরুতর কোন বিকৃতি রয়েছে, তাহলে বিষ্টিশ পিনাল কোড ১৯৫৮ অনুযায়ী গর্ভপাত করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

অন্যদিকে, যদি কেউ গরভ্পাত অবৈধভাবে করে, নিজেই করে অথবা গর্ভপাতের ঔষধ বিক্রি করে, তাহলে তাকে বাংলাদেশের বর্তমান আইনে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

ইনফারটিলিটি এবং সংক্রামক রোগ পরীক্ষা

সন্তান নেওয়ার আগে ইনফারটিলিটি পরীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা সন্তান ধারণে সক্ষমতা নিশ্চিত করে। ঊর্বরতা পরীক্ষা এবং সংক্রামক রোগ পরীক্ষা দুটি অত্যন্ত জরুরি।

ঊর্বরতা পরীক্ষা

ঊর্বরতা পরীক্ষা পুরুষদের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। এটা শুক্রাণুর গণনা এবং অন্যান্য গুণাবলী নির্ধারণ করে। ধূমপান এবং মদ্যপান শুক্রাণুর গুণাবলীকে প্রভাবিত করতে পারে।

এসটিআই/এইচআইভি পরীক্ষা

সন্তান ধারণের আগে দম্পতির এসটিআই/এইচআইভি পরীক্ষা করা খুব জরুরি। এসব রোগ সন্তান ধারণে সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এসব রোগের জন্য প্রাথমিক পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইনফারটিলিটি এবং সংক্রামক রোগ সম্পর্কিত পরীক্ষা করানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষাগুলি সন্তান ধারণের সক্ষমতা নির্ধারণে সাহায্য করে। এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় পরীক্ষণীয় রোগ

গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা দরকার। ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং অ্যানিমিয়া পরীক্ষা এই দুটি পরীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়াবেটিস পরীক্ষা

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটা বাচ্চার বড়ো হতে বাধা দিতে পারে। এবং মায়ের ভালো স্বাস্থ্য রাখতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

একটি রুটিন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হলে ঝুঁকি চিহ্নিত করা সম্ভব। এটা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ দেয়।

অ্যানিমিয়া পরীক্ষা

এছাড়া গর্ভাবস্থার সময় রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া) হিমোগ্লোবিনের কম মাত্রা পাওয়া গেলে চিকিৎসা করা দরকার। এই অবস্থায় মায়ের ক্লান্তি, দুর্বলতা, সর্দি-নাক বেজায়ে এসে যায়।

যদি এই সমস্যাগুলি সময়মতো চিহ্নিত করা না হয়, তবে গুরুতর পরিণাম হতে পারে।

সুতরাং, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং অ্যানিমিয়া পরীক্ষা করানো খুবই প্রয়োজনীয়। এই দুটি পরীক্ষা মাকে এবং শিশুকে সুষ্ঠ রাখতে সহায়তা করে।

বাচ্চা নেওয়ার আগে কি কি টেস্ট করা উচিত

বাচ্চা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করুন। ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া, জিনগত ডিসঅর্ডার এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ নিয়ে ডাক্তারের সাথে আলাপ করুন। প্রস্রাবের পরীক্ষা, ব্লাড গ্রুপ, ক্যান্সার স্ক্রিনিং এবং মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থার সৌখিন পরীক্ষাগুলি হল:

  • প্রজনন ক্ষমতা পরীক্ষা: এই পরীক্ষায় বাচ্চা নেওয়ার আগে টেস্ট এবং গর্ভধারণ ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। এতে থাইরয়েড পরীক্ষা, ব্লাড পরীক্ষা এবং প্রস্রাবের পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
  • প্রিনাটাল স্ক্রিনিং পরীক্ষা: এই পরীক্ষাগুলিতে ডাউন সিনড্রোম, স্পাইনা বিফিডা এবং অন্যান্য বিকৃতি শনাক্ত করা হয়।
  • জিনগত পরীক্ষা: এই পরীক্ষায় জিনগত রোগ এবং ভ্রূণের বিকৃতি নির্ণয় করা হয়।
  • ইনফারটিলিটি এবং সংক্রামক রোগ পরীক্ষা: এই পরীক্ষাগুলিতে ঊর্বরতা এবং এসটিআই/এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়।

এসব পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে গর্ভধারণ পরীক্ষা করা উচিত। এটা আপনার এবং আপনার শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপডেট করবে।

“বাচ্চা নেওয়ার আগে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এটা আপনার প্রজনন স্বাস্থ্যকে মজবুত করবে। আপনি নিশ্চিন্ত হতে পারেন যে আপনার শিশু সুস্থ হবে।”

এই পরীক্ষাগুলি আপনাকে এবং আপনার ডাক্তারকে আপডেট করবে। এগুলি আপনাকে নিশ্চিত করবে যে আপনি সুস্থ এবং সুরক্ষিত গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত।

মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা

গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক গর্ভবতী মা উদ্বেগ, চিন্তা এবং অবসাদের মতো অবস্থায় থাকেন। এগুলি ডাক্তারের কাছে জানানো দরকার। কারণ এটা মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য চিকিত্সা করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে:

  • উদ্বেগ, চিন্তা এবং অবসাদ ডাক্তারকে জানানো জরুরি
  • মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হলে শিশুর স্বাস্থ্যেও ক্ষতি হতে পারে
  • মায়ের মানসিক কুশলতা সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ এবং পরামর্শ গর্ভকালে ও প্রসূতির পরে খুব গুরুত্বপূর্ণ

গর্ভবতী মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এজন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ করা দরকার। এটা মায়ের এবং শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখবে।

More: গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

বাচ্চা নেওয়ার আগে জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষা

আপনি বাচ্চা নিয়ে আসার আগে ডাক্তারের সাহায্য নিয়ে নিন। সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। এতে ওজন, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তের গ্রুপ এবং অন্যান্য রোগ দেখা দেয়। জিনগত ত্রুটি এবং মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

সন্তান নেওয়ার আগে মানসিক, আর্থিক এবং শারীরিক প্রস্তুতি নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এতে কাপ টেস্ট, জরায়ুমুখে সমস্যা নির্ধারণ, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের পরীক্ষা এবং দ্বিতীয়বার সন্তানের ক্ষেত্রে বিশেষ পরীক্ষা ও মেডিকেল সাহায্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। গর্ভাবস্থায় গার্ভবতী মা বা শিশুর সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি দেখার জন্য প্রসবপূর্ব পরীক্ষা করা হয়।

প্রথম ত্রৈমাসিকের পরীক্ষাগুলি গুরুত্বপূর্ণ। এতে রক্ত পরীক্ষা এবং প্রেগন্যান্সি স্ক্যান অন্তর্ভুক্ত থাকে। প্রসবপূর্ব পরীক্ষা স্বাস্থ্যের অবস্থার সম্ভাবনা দেখায়।

বাচ্চা নেওয়ার আগে এই সকল স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলি সম্পূর্ণ করা নিশ্চিত করলে আপনি এবং আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারবেন।

সমাপ্তি

গর্ভধারণ করার আগে এই সকল পরীক্ষাগুলি করিয়ে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আপনাকে নিশ্চিত করবে যে, আপনি সুস্থ গর্ভধারণ করতে পারবেন। এবং সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে পারবেন।

ক্ষুদ্র পরীক্ষাগুলির সাহায্যে আপনি নিজে এবং ভবিষ্যৎ সন্তানের জন্য আশার আলো জ্বালাতে পারবেন। আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করে এই পরীক্ষাগুলি করিয়ে নিন।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে, আপনি সুস্বাস্থ্যবান এবং শক্তিশালী হয়ে গর্ভধারণ করতে পারবেন। এতে আপনার শিশুর সুস্থ জীবনের ভিত্তি প্রস্তুত হবে।

এই পরীক্ষাগুলি সম্পন্ন করতে আপনাকে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিন্তু এগুলি আপনার ও আপনার শিশুর জন্য অনেক দূরদর্শী উপকারিতা বয়ে আনবে।

অতএব, গর্ভধারণের আগে এই সকল পরীক্ষাগুলি প্রয়োজনীয় বলে ব্যবহার করুন। এগুলি আপনাকে নিশ্চিত করে দেবে যে, আপনি সুস্থ গর্ভধারণ এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্য প্রস্তুত।

FAQ

বাচ্চা নেওয়ার আগে কোন কোন টেস্ট করা উচিত?

বাচ্চা নেওয়ার আগে কিছু টেস্ট করা দরকার। এগুলি হলো থাইরয়েড পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, এবং প্রস্রাবের পরীক্ষা।

প্রিনাটাল স্ক্রিনিং পরীক্ষা কি?

প্রিনাটাল স্ক্রিনিং হল একটা মেডিকেল পরীক্ষা। এটা গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য সমস্যা দেখার জন্য করা হয়।

বাচ্চা নেওয়ার আগে জেনেটিক পরীক্ষা কেন জরুরি?

কিছু লোক জেনেটিক সমস্যা নিয়ে থাকে। এই অবস্থায় বাচ্চা নেওয়ার আগে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। ভ্রূণের বিকৃতি দেখার জন্য ভ্রূণ পর্যবেক্ষণ পরীক্ষা করতে হবে।

ইনফারটিলিটি পরীক্ষা কেন প্রয়োজন?

ছেলেদের জন্য ঊর্বরতা পরীক্ষা খুব জরুরি। এটা শুক্রাণুর সংখ্যা দেখায়। ধূমপান করা ছেলেদের এই পরীক্ষা করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কোন কোন রোগের পরীক্ষা জরুরি?

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া রক্তশূন্যতা পরীক্ষা করতে হবে।

বাচ্চা নেওয়ার আগে কোন কোন ধরণের টেস্ট করা উচিত?

বাচ্চা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ দরকার। ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া, জিনগত ডিসঅর্ডার এবং অন্যান্য রোগের পরীক্ষা করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন জরুরি?

গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। উদ্বেগ, চিন্তা, অবসাদ ইত্যাদি সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে আলাপ করা দরকার।

Share your love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *