চিকিৎসা বিজ্ঞানে সহবাসের সময় থুথু ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন মতামত আছে। প্রাচীনকালে লুব্রিকেন্ট জেল না থাকায় মানুষ থুথু ব্যবহার করত। এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রগতির ফলে আমরা নতুন করে জানতে পারছি।
যৌন মিলনের সময় স্ত্রীর যোনি পিচ্ছিল করার জন্য থুথু ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি শুক্রাণুর গতিশীলতা হ্রাস করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
সহবাসের সময় থুথু ব্যবহার: পুরাতন প্রথা ও আধুনিক মতামত
প্রাচীনকাল থেকেই থুথু ব্যবহার করা হয়েছে যৌন মিলনের সময়। এটি একটি “পবিত্র” প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে দেখা হত। কিন্তু তখন লুব্রিকেন্ট জেল বা অন্যান্য নিরাপদ যৌন সরঞ্জাম ছিল না।
এখন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশি সচেতনতা আছে। এটি প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার এবং নিরাপদ যৌন আচরণ অবলম্বন করার দিকে উৎসাহিত করেছে।
প্রাচীনকালে থুথু ব্যবহারের কারণ
প্রাচীনকাল থেকেই থুথু ব্যবহার করা হয়েছে যৌন মিলনের সময়। এটি একটি “পবিত্র” প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে দেখা হত। যখন লুব্রিকেন্ট জেল বা অন্যান্য নিরাপদ যৌন সরঞ্জাম ছিল না, তখন মানুষ থুথু ব্যবহার করতো যৌন মিলনের সময় নিরাপদ ভাবে মিলনের জন্য। তখন মানুষের এ বিষয়ে সচেতনতা খুব বেশি ছিল না।
বর্তমানে থুথু ব্যবহারের মতামত
বর্তমানে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে জানা গেছে যে, থুথু ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এতে শুক্রাণুর চলাচল হ্রাস পায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই বিভিন্ন চিকিৎসক এখন পরামর্শ দিচ্ছেন যে, যৌন মিলনের সময় প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা উচিত, যা যৌনতার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে এবং গর্ভনিরোধক পদ্ধতির কার্যকারিতাও বৃদ্ধি করবে।
অতীতে থুথু ব্যবহারের প্রথা ছিল প্রচলিত, তবে বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে বাড়তি সচেতনতার ফলে, নিরাপদ ভাবে মিলনের জন্য প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
কেন থুথু ব্যবহার করা উচিত নয়?
গবেষণা দেখিয়েছে যে থুথু ব্যবহার করলে শুক্রাণুর গতিশীলতা কমে যায়। এটি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখাতে পারে। থুথু ব্যবহার করলে যৌন সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
শুক্রাণুর গতিশীলতা হ্রাস পায়
থুথু ব্যবহার করলে শুক্রাণুর গতিশীলতা কমে যায়। এটি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখাতে পারে। যৌনমিলনের সময় গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।
সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়
থুথু ব্যবহার করলে যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি গোনোরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি/এইডস এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
চিকিৎসকরা থুথু ব্যবহার না করে লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এটি নিরাপদ এবং বিজ্ঞানসম্মত।
থুথু ব্যবহারের প্রভাব
যৌন মিলনের সময় অত্যধিক থুথু ব্যবহার করলে শুক্রাণুর চলাচলা কমে যায়। এটি গতিশীলতা হ্রাস করে। ফলে অনেকের ক্ষেত্রে সন্তান ধারণ করা কঠিন হয়ে ওঠে। থুথু ব্যবহার করলে যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চিকিৎসকরা এই সমস্যা থেকে বাঁচাতে লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার পরামর্শ দেন। এটি তালুর ঔপচারিক চিকিৎসা এবং প্রজননক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আদর্শ।
সংক্ষেপে, থুথু ব্যবহার না করে লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা উত্তম। এটি যৌন চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।
প্রভাব | ঝুঁকি |
---|---|
শুক্রাণুর চলাচল এবং গতিশীলতা হ্রাস | সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যায় |
যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি | নিরাপদ সহবাসের জন্য লুব্রিকেন্ট ব্যবহার প্রয়োজন |
“যৌন মিলনের সময় স্ত্রী পিচ্ছিলতা ক্ষয় এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা উচিত।”
কখন লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা উচিত?
যদি স্ত্রীর যোনি পর্যাপ্ত পিচ্ছিল না হয়, তাহলে লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা উচিত। দীর্ঘক্ষণ ধরে সহবাস করার পরও এটি ভালো। এটি স্ত্রীর যোনিকে পরিশুদ্ধ ও পিচ্ছিল করে তোলে। এছাড়াও, সঙ্গীর সাথে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
ফোরপ্লের পর যদি পিচ্ছিল না হয়
ফোরপ্লের পরেও স্ত্রীর যোনি পর্যাপ্ত পিচ্ছিল না হতে পারে। এই সময়ে লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা ভালো। এটি যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে সহবাসকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে।
দীর্ঘক্ষণ সহবাসের পর
দীর্ঘক্ষণ ধরে সহবাসের পর স্ত্রীর যোনি পিচ্ছিলহীন হতে পারে। এই সময়ে লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করলে যোনির উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, সহবাস আরও আরামদায়ক হয়ে ওঠে।
সংক্ষেপে, যৌন মিলনের সময় যদি স্ত্রীর যোনি পর্যাপ্ত পিচ্ছিল না হয় অথবা দীর্ঘক্ষণ ধরে সহবাস করা হয়, তখন লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা উপযুক্ত। এতে করে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং সহবাস স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়।
পিচ্ছিল করার বিকল্প উপায়গুলো
যদি স্ত্রীর যোনি পর্যাপ্ত পিচ্ছিল না হয়, লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা উপকারী। দীর্ঘক্ষণের সহবাসেও এটি ভালো কাজ করে। এটি স্ত্রীর যোনিকে পরিশুদ্ধ ও পিচ্ছিল করে তোলে। এছাড়াও, সঙ্গীর সাথে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
কনডম ব্যবহার করলেও লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা উপযুক্ত। কনডমের সাথে এটি ব্যবহার করলে সহবাস আরও সুখকর হয়। এটি কনডম ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
যৌন গতিশীলতা বৃদ্ধি ও দীর্ঘ সহবাসের জন্য লুব্রিকেন্ট জেল প্রয়োজন। এটি সহবাসকালীন আরামদায়ক অনুভূতি বৃদ্ধি করে।
নিরাপদ ও গুণগত মানের লুব্রিকেন্ট বাছাই
যৌনতার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, লুব্রিকেন্ট বেছে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে বিভিন্ন লুব্রিকেন্ট আছে, কিন্তু সবগুলোই নিরাপদ নয়। কিছু লুব্রিকেন্টে কঠোর রাসায়নিক উপাদান থাকে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক।
চিকিৎসকরা প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার পরামর্শ দেন। তারা বলেন যে এগুলো স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ।
কেমিক্যাল উপাদানযুক্ত লুব্রিকেন্ট এড়ানো
বেশিরভাগ লুব্রিকেন্টে অ্যালকোহল বা কৃত্রিম রাসায়নিক থাকে। এগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
এগুলো ত্বককে পৃথকীকরণ করতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টগুলোর বিবরণ
- আলো ভেত: প্রাকৃতিক, রসায়নিক অসংবেদনশীল এবং আর্দ্রতা ধারণ করতে সক্ষম।
- গুয়ার গম: একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা যৌনাঙ্গকে পিচ্ছিল রাখে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে।
- সিলিকন: ত্বক অন্যতম স্বাস্থ্যকর এবং ঘর্ষণমুক্ত এক প্রাকৃতিক উপাদান।
- শিয়া বাটার: পৃথকীকরণকে রোধ করে, আর্দ্রতা ধারণ করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে।
এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এগুলো ত্বকের ক্ষতি করে না এবং সংক্রমণ ঝুঁকি কমায়।
রাসায়নিক জেল এবং প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টের তুলনা
বাজারে কিছু রাসায়নিক লুব্রিকেন্ট জেল আছে যেখানে ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে। এগুলো যৌনাঙ্গের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু, প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট আলোভেত, গুয়ার গম, সিলিকন, শিয়া বাটার ইত্যাদিতে তৈরি হয়। এগুলো ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ।
চিকিৎসকরা প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টগুলি ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
রাসায়নিক জেল এবং প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টের মধ্যে কিছু প্রধান পার্থক্য রয়েছে:
- রাসায়নিক জেলে কৃত্রিম উপাদান যেমন পরিফ্যাক, প্যারাবেন, ক্লোরোহাইড্রোক্সিবেঞ্জেন ইত্যাদি থাকতে পারে। এগুলো যৌন চাহিদার জন্য উপযুক্ত নয়।
- প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টে এই ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। বরং, এগুলি ত্বককে নাপিত ও পুষ্টিকর রাখে।
- রাসায়নিক জেল সাধারণত সিলিকনভিত্তিক। এটি খুব দীর্ঘস্থায়ী হলেও ত্বককে শুকনো করতে পারে।
- প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টগুলি অপেক্ষাকৃত ছোট প্যাকেজে পাওয়া যায়। এগুলো সহজে অপসারণযোগ্য।
তাই, আদর্শ সহবাসের জন্য প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টের ব্যবহার চিকিৎসকদের পরামর্শ দেওয়া হয়।
“আমরা যৌন স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিয়ে গুরুত্ব দিই। তাই, প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টের ব্যবহারই আমাদের উপসর্গ।”- ডা. আরিফা খাতুন, যৌন চিকিৎসক
লুব্রিকেন্ট ব্যবহার নিয়ে দাম্পত্য কৌশল
যদি স্ত্রীর যোনি পিচ্ছিল না হয়, তাহলে লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করুন। এটি তার যোনিকে পরিশুদ্ধ ও পিচ্ছিল করে তোলে। এভাবে সঙ্গীর সাথে সুস্থ্য সম্ভোগ বেশি হয়।
দীর্ঘক্ষণ ধরে সহবাস করার সময় লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা ভালো। এটি সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
প্রথম সেক্সের সময় ব্যথা হলে স্ত্রী কম উত্তেজিত হয়। এই সময় লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রসবের পরেও কিছু ডাক্তার লুব্রিকেন্ট ব্যবহার পরামর্শ দেন।
এই সময়ে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করলে যৌনতাবহর ভালো হয়।
বাজারে লুব্রিকেন্ট জেলের মূল্য ৳150 থেকে ৳160। নিরাপদ ও গুণগত লুব্রিকেন্ট বেছে নেওয়া জরুরি।
সংক্ষেপে, লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সুস্থ্য সম্ভোগ, যৌনতাবহর এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
কনডম ব্যবহারে লুব্রিকেন্ট নির্বাচন
কনডম ব্যবহারের সময় লুব্রিকেন্ট নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভুল লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করলে কনডম ক্ষয় পায়। এছাড়াও, গর্ভনিরোধ এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। চিকিৎসকরা প্রাকৃতিক ও নিরাপদ লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
কনডম ব্যবহারের সময় লুব্রিকেন্ট নির্বাচনে কিছু বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন:
- কনডম এবং লুব্রিকেন্টের মধ্যে কোন রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না সেটা নিশ্চিত করা।
- লুব্রিকেন্টে কৃত্রিম উপাদান থাকলে সেটা এড়িয়ে চলা।
- প্রজনন স্বাস্থ্যর জন্য উপযুক্ত প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা।
এছাড়াও, লুব্রিকেন্ট নির্বাচনে কোন ধরনের নিরাপদ ভাবে মিলন প্রয়োজন সেটাও বিবেচনা করা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, দীর্ঘক্ষণের জন্য যে লুব্রিকেন্ট প্রয়োজন সেটা সহবাসের পূর্বে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সুতরাং, কনডম ব্যবহারের সময় সঠিক লুব্রিকেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি গর্ভনিরোধ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যর জন্য একটি নিরাপদ এবং নিশ্চিত উপায়।
সহবাসের সময় থুথু ব্যবহার
সহবাসের সময় থুথু ব্যবহার করা একটি প্রাচীন প্রথা। ইতিহাস বলে, এটি প্রচলিত ছিল। কিন্তু আধুনিক যুগে এই প্রথার বিরুদ্ধে মতামত উঠে এসেছে।
গবেষণা বলে, থুথু ব্যবহার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমায়। এটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
পরিবর্তে, লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা উচিত। এটি প্রবেশ সহজ করে দেয় এবং ঘর্ষণজনিত ব্যথা কমায়।
লুব্রিকেন্ট জেল সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ একটি গুণ আছে। এটি সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
বিশেষ করে পুরুষদের জন্য, লুব্রিকেন্ট জেল যৌন কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
কিন্তু লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের কিছু ঝুঁকি আছে। কনডমের কার্যকারিতায় প্রভাব পড়তে পারে এবং অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে নিরাপদ ও গুণগত মানের লুব্রিকেন্ট নির্বাচন করা উচিত। পার্টনারের সাথে আলোচনা করা উচিত।
FAQ
কেন সহবাসের সময় থুথু ব্যবহার করা উচিত নয়?
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে যে সহবাসের সময় থুথু ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি শুক্রাণুর গতিশীলতা হ্রাস করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
থুথু ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কী?
থুথু ব্যবহার করলে শুক্রাণুর চলাচল ও গতিশীলতা হ্রাস পায়। এটি অনেকের ক্ষেত্রে সন্তান ধারণ করা সম্ভব হয় না। এছাড়াও, এতে যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
কখন লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা উচিত?
যদি স্ত্রীর যোনি পর্যাপ্ত পিচ্ছিল না হয় বা দীর্ঘক্ষণ ধরে সহবাস করা হয়, তখন লুব্রিকেন্ট জেল ব্যবহার করা উচিত। এটি স্ত্রীর যোনিকে পরিশুদ্ধ ও পিচ্ছিল রাখে। এছাড়াও, সঙ্গীর সাথে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
কনডম ব্যবহারের সময় কী ধরনের লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা উচিত?
কনডম ব্যবহারের সময় সঠিক প্রাকৃতিক ও নিরাপদ লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। অনুপযুক্ত লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করলে কনডমের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও, গর্ভনিরোধ ও সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট গুলি কী?
চিকিৎসকরা প্রাকৃতিক ও নিরাপদ লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট হিসাবে আলো ভেত, গুয়ার গম, সিলিকন, শিয়া বাটার ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
রাসায়নিক লুব্রিকেন্ট এবং প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্টের মধ্যে তারতম্য কী?
বাজারে উপলব্ধ কিছু রাসায়নিক লুব্রিকেন্ট জেলে ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে। এগুলো যৌনাঙ্গের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট আলোভেত, গুয়ার গম, সিলিকন, শিয়া বাটার ইত্যাদিতে তৈরি হয়। এগুলো ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ।