পানির মত সাদা স্রাব কিসের লক্ষণ: জানুন কারণ

লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাব মেয়েদের একটি সাধারণ সমস্যা। এটি যোনি থেকে বের হয় এবং রঙ সাদা, হলুদ, হাল্কা নীল বা লাল হতে পারে। এটি শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। কিন্তু যে কোনও বয়সের মেয়েকেই এই রোগ হতে পারে।

সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া হলে মেয়েদের শরীরে ক্ষতি হতে পারে। এটি গর্ভধারণের একটি লক্ষণ হতে পারে।

মাসিক সাইকেলের আগে অনেক মেয়েই এই সমস্যা ভোগ করেন। এই সমস্যা গম্ভীর হলে চিকিৎসকের সাথে দ্রুত পরামর্শ নিন।

পানির মত সাদা স্রাব কি হয়?

যোনি থেকে সাদা বা হালকা নীল রঙের তরল পদার্থ নির্গমন হলো লিউকোরিয়া। এটি সাধারণ একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। বিশেষত, মহিলাদের মধ্যে এটি প্রায় সবাই অনুভব করেন।

লিউকোরিয়া রোগের উপসর্গগুলি

লিউকোরিয়ার লক্ষণগুলি হলো যোনিদেশে চুলকানি এবং স্মৃতিভ্রংশ। খিদে কমে যাওয়া, দুর্বলতা এবং বমি বমি ভাবও লক্ষণ।

বিষন্নতা এবং বার বার প্রস্রাব করা একটি সাধারণ লক্ষণ। যোনিদেশের স্বাস্থ্যসম্মত না রাখা এবং রক্তস্বল্পতাও কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত শারীরিক কাজ এবং অস্বাস্থ্যকর যৌন জীবনও লিউকোরিয়ার কারণ হতে পারে।

লিউকোরিয়া কেন হয়?

লিউকোরিয়া হওয়ার কারণ হতে পারে গর্ভধারণ এবং প্রস্রাবে সংক্রমণ। যৌনরোগ, প্রোস্টেট সমস্যা এবং পেলভিক ইনফ্লেমেটরি রোগও কারণ হতে পারে।

মাসিকের আগে বা পরে বৈবাহিক মহিলাদের মধ্যে যোনিদ্বারে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি একটি কারণ। ডায়াবেটেস এবং অতিরিক্ত ঝাল-মশলাদার খাবার খাওয়াও লিউকোরিয়ার কারণ হতে পারে।

“সাদা স্রাব যোনির প্রাকৃতিক তরল, যা যোনির স্বাস্থ্য ও স্বচ্ছতা রক্ষা করে। এটা সাধারণত অস্বস্তিকর নয়, তবে অস্বাভাবিক পরিমাণ বা শারীরিক লক্ষণ থাকলে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।”

সাদা স্রাবের কারণগুলি

পানির মতো পাতলা সাদা স্রাব হওয়ার কারণ অনেক কিছু। এটি অনেক মহিলার জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।

সাদা স্রাবের কারণ হতে পারে যৌন সম্পর্কের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা। শরীরে রক্তের অভাব এবং অতিরিক্ত স্বমেহনও কারণ হতে পারে।

ত্রুটিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ক এবং অনেক বেশি উপোস করা সাদা স্রাবের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এবং রোগগ্রস্ত পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্কও একটি কারণ।

যোনিদ্বারে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি এবং যোনিদ্বার বা জরায়ুর মুখে ফোস্কা সাদা স্রাবের কারণ হতে পারে। বার বার সন্তান নষ্ট হওয়াও একটি কারণ।

গর্ভাবস্থা, প্রস্রাবে সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, টিকাদান এবং বৈদ্যুতিক চিকিৎসা সাদা স্রাবের কারণ হতে পারে।

  • যৌনভাবে সংক্রমিত সংক্রমণ
  • ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস
  • খামির সংক্রমণ
  • পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ

সাদা স্রাব যোনি পথকে পিচ্ছিল রাখে। এটি যোনির টিস্যুকে সুস্থ রাখে। এবং সর্বোপরি, এটি যৌনমিলনে সাহায্য করে।

যদি এটি হঠাৎ পরিবর্তন হতে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

লিউকোরিয়ার পরীক্ষা কিভাবে করা হয়?

লিউকোরিয়া রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকেরা যোনি থেকে নির্গত তরল পরীক্ষা করেন। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের পরীক্ষায় যদি দেখা যায় হোয়াইট ব্লাড সেল-এর কাউন্ট ১০ এর বেশি, তাহলে লিউকোরিয়া রোগ হয়ে গেলে বোঝা যায়। চিকিৎসকেরা রক্ত পরীক্ষা, ভাগিনাল ক্যান্ডিডিয়াসিস টেস্ট এবং অ্যানাটোমিক্যাল পরীক্ষা করেন।

লিউকোরিয়া রোগ পরীক্ষা হয় যদি ব্যক্তির যোনি থেকে পানির মতো সাদা স্রাব বের হয়। চিকিৎসকেরা সোয়াব সংগ্রহ করে নমুনা পরীক্ষা করেন। যদি দেখা যায় হোয়াইট ব্লাড সেল-এর সংখ্যা বাড়ে গেছে, তাহলে লিউকোরিয়া রোগ হয়ে গেলে বোঝা যায়।

চিকিৎসকেরা এছাড়াও রক্তের পরীক্ষা করে লিউকোরিয়ার আরও ঠিকানা খুঁজে পেতে পারেন। ভাগিনাল ক্যান্ডিডিয়াসিস টেস্ট এবং অ্যানাটোমিক্যাল পরীক্ষাও করেন।

সাদা স্রাবের কারণ নির্ণয় করাই লিউকোরিয়া রোগের পরীক্ষার উদ্দেশ্য। এই পরীক্ষাগুলি সুস্পষ্ট উপসর্গ সনাক্ত করতে এবং প্রাথমিক ডায়াগনোসিস করতে সহায়তা করে। চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারেন।

লিউকোরিয়ার চিকিৎসা

লিউকোরিয়া রোগের চিকিৎসা শুরু করার জন্য প্রথমে সাদা স্রাবের লক্ষণগুলি খুঁজে বের করতে হবে। চিকিৎসক যোনি থেকে নির্গত তরল পরীক্ষা করে চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন। সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ এবং হরমোনাল চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জীবনশৈলি পরিবর্তনের উপায়

লিউকোরিয়ার চিকিৎসায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো কাজে লাগে। যোনিপথ স্বচ্ছ ও শুষ্ক রাখার জন্য জীবনশৈলি পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থা এবং রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণ করা, পুষ্টিকর খাদ্য সেবন করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সাদা স্রাব বন্ধ করার একটি উপায় হল জীবনশৈলি পরিবর্তন। যোনিপথ পরিষ্কার রাখা, প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করা এবং স্ট্রেস কমানো লিউকোরিয়ার চিকিৎসায় ভূমিকা রাখে।

যদি সাদা স্রাব জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা এইচআইভি থেকে হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে। সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে সুরক্ষামূলক ব্যবহার প্রয়োজন।

পানির মত সাদা স্রাব কিসের লক্ষণ

প্রতি মাসে অনেক নারী পানির মতো সাদা স্রাব অভিজ্ঞতা করেন। এই ধরনের স্রাব সাধারণত স্বাভাবিক এবং স্বাভাবিক যোনি শুকনো রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু কখনও কখনও এটি অস্বাভাবিক হতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।

পানির মতো সাদা স্রাব হলে সাধারণত যোনি থেকে সাদা, পাতলা, স্বচ্ছ তরল পদার্থ বের হয়। এটি সংক্রমণ, যোনি সংক্রমণ বা হরমোনাল ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও, দুধের ছানার মতো সাদা গাঢ় ও পুশস্বরূপ স্রাব যোনি বা জরায়ুর সংক্রমণের ছিড়ে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে।

সাদা স্রাব হলে কি ক্ষতি হয় তা নির্ভর করে এর কারণ ও প্রকৃতির উপর। কখনও কখনও এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে, কখনও এটি একটি ভারসাম্যহীন স্বাস্থ্যের লক্ষণ হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট ক্ষতি না বোঝা পর্যন্ত এই স্রাব উদ্বেগ না করে তা পরিষ্কার রাখা উচিত এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

গর্ভাবস্থায় পানির মত সাদা স্রাব হওয়াটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এটি গর্ভাধারণের স্পষ্ট লক্ষণ হতে পারে। তবে এছাড়া সাদা স্রাব এর কারণ হিসেবে অন্যান্য রোগ, যেমন – ইনফেকশন বা হরমোন পরিবর্তন হতে পারে।

  • সাদা স্রাব কি গর্ভধারণের লক্ষণ ?
  • সাদা স্রাব হলে কি মাসিক হয়?
  • মাসিক হওয়ার আগে সাদা স্রাব কেমন হয় ?
  • মেয়েদের সাদা স্রাব বন্ধ করার উপায় কি?

এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে এবং অস্বাভাবিক যোনি স্রাব সম্পর্কে আরও জানতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় পানির মত সাদা স্রাব

গর্ভাবস্থায় পানির মতো সাদা স্রাব স্বাভাবিক। এটি হরমোনের পরিবর্তনের কারণে। মেয়েরা মাসিক শুরুর ১–২ বছর আগে এই স্রাব শুরু করে। গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়।

দুধের ছানার মত সাদা স্রাবের কারণ

শেষ সপ্তাহে স্রাব আঠালো হতে পারে। এটি জরায়ু ফটিয়ে যাওয়ার লক্ষণ। কিছু ক্ষেত্রে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে অস্বাভাবিক সাদা স্রাব হতে পারে।

মোটকথা, গর্ভাবস্থায় পানির মতো সাদা স্রাব স্বাভাবিক। স্রাবে পরিবর্তন দেখা গেলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

“গর্ভবতী মহিলাদের সাদা স্রাব বৃদ্ধির কারণে, এটি স্বাভাবিক এবং চিন্তার বিষয় নয়।”

আরও পড়ুনঃ পুরুষের হার্নিয়া রোগ কেন হয়

যোনি থেকে সাদা স্রাব আসতে পারে এমন রোগগুলি

যোনি থেকে সাদা স্রাব বের হতে পারে বিভিন্ন রোগের কারণে। ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, যৌন রোগ, প্রোস্টেট সমস্যা, এবং পেলভিক ইনফ্লেমেটরি রোগ এই রোগগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এই রোগের কারণে শরীর থেকে অসাধারণ পরিমাণে সাদা বা গাঢ় স্রাব বের হতে পারে।

অতিরিক্ত সাদা স্রাব স্বাস্থ্যসমস্যার একটি লক্ষণ হতে পারে।

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন এবং যৌন রোগ যোনি থেকে সাদা স্রাব বের করতে পারে। ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হলে পানির মতো পাতলা স্রাব বের হয়। অন্যদিকে, যৌন রোগের ক্ষেত্রে স্রাব গাঢ় ও ঘন হয়।

প্রোস্টেট সমস্যা এবং পেলভিক ইনফ্লেমেটরি রোগ যোনি থেকে সাদা স্রাব বাজে। এই ক্ষেত্রে স্রাব পানির মতো পাতলা বা দুধের ছানার মতো গাঢ় হয়।

সংক্ষেপে, যোনি থেকে সাদা স্রাব বের হওয়া বিভিন্ন রোগের লক্ষণ। ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, যৌন রোগ, প্রোস্টেট সমস্যা, এবং পেলভিক ইনফ্লেমেটরি রোগ এই রোগগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। সাদা স্রাবের উপস্থিতি দেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

“৪ জন মধ্যে ৩ জন মহিলাই একদিন জীবনে ভ্যাজিনালি ক্যান্ডিডিয়াসিস (ইস্ত্রিজাত ক্যান্ডিডা সংক্রমণ) অনুভব করেন।”

ভ্যাজিনালি ক্যান্ডিডিয়াসিসের একটি প্রধান লক্ষণ হলো যোনি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে সাদা বা গাঢ় স্রাব বের হওয়া। গর্ভবতী মহিলা, ডায়াবেটিস রোগীরা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হলে এই সমস্যায় ভুগতে পারেন।

সাদা স্রাব হলে সঙ্গত সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে পরিষ্কার স্নান এবং নিয়মিত প্রোবায়োটিক খাদ্যগ্রহণ সমস্যা সমাধান করতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ কার্যকর সমাধান হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন

সাদা স্রাব কি গর্ভধারণের লক্ষণ ?

সাদা স্রাব গর্ভধারণের একটি লক্ষণ নয়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এটি বেশি হতে পারে। এটি মাতৃত্ব হরমোনের কারণে।

মাসিক রক্তপাত বন্ধ হলে হরমোনের অসন্তুলন হয়। এই অসন্তুলনের ফলে সাদা স্রাব বেড়ে যায়। তাই, শুধু সাদা স্রাব দেখে গর্ভধারণ নিশ্চিত করা যায় না।

যদি গর্ভধারণের ঐতিহ্য থাকে এবং অন্য লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কতকগুলি ঘটনা দেখা যেতে পারে যা গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে দেখা যেতে পারে:

  • গর্ভাবস্থায় স্তনের পরিবর্তন
  • হরমোনাল পরিবর্তন
  • ইমপ্লান্টেশনের দ্রুত বৃদ্ধি
  • ঘন-ঘন প্রস্রাব
  • মাসিক চক্রের বিচ্ছিন্নতা

এই লক্ষণগুলি সাধারণত গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহগুলিতে উপস্থিত হয়। কিন্তু শুধু সাদা স্রাব দেখে গর্ভাবস্থার নিশ্চিতকরণ করা যায় না।

এটি অন্য লক্ষণগুলির সাথে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। সর্বশেষ, ডাক্তারের পরামর্শ অত্যাবশ্যক।

শরীরের মাত্রাতিরিক্ত পরিবর্তন প্রচুর হরমোন, রক্ত প্রবাহ এবং অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তনগুলির ফলাফল হিসাবে গর্ভাবস্থা শুরু হয়ে যায়। যদি আপনার গর্ভধারণের আশঙ্কা থাকে তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

সাদা স্রাব হলে কি মাসিক হয়?

মহিলাদের মধ্যে সাদা, হলুদ বা আঠালো তরল স্রাব নির্গত হওয়া স্বাভাবিক। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার হয়। যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে হয়, তাহলে শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে।

মাসিক হওয়ার আগে সাদা স্রাব

মাসিক চক্রের আগে ১-২ দিন সাদা স্রাব দেখা যায়। এটি স্বাভাবিক। এই স্রাব বেদনাহীন এবং ঘন, পাতলা বা স্বচ্ছ হতে পারে।

মাসিক চক্রের সময় এটি তীব্র হয়। ভারী বা অনিয়মিত মাসিক চক্রে সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সাদা স্রাব হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর প্রকৃতি এবং পরিমাণ বিষয়ে নজর রাখা জরুরি। অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক সাদা স্রাব শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

মেয়েদের সাদা স্রাব বন্ধ কর

পানির মত সাদা স্রাব মেয়েদের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা। এটি সহনীয় পর্যায়ে থাকতে পারে কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। যদি সাদা স্রাব বেশি হয় বা অন্যান্য উপসর্গ থাকে, তাহলে চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পানির মত সাদা স্রাব স্বাভাবিক। এই সময় শরীরে পরিবর্তন হয় এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের কারণে। হরমোনের পরিবর্তন সাদা স্রাবের কারণ হতে পারে। কিন্তু এটি গর্ভধারণের লক্ষণ নয়।

সাদা স্রাব বন্ধ করার জন্য প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, ওষুধ, এবং চিকিৎসা আছে। নিয়মিত ধোয়া, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা আবশ্যক। বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে সমস্যার মূল কারণ নির্ণয় করা এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা সাদা স্রাব বন্ধ করতে সহায়ক হবে।

FAQ

সাদা স্রাব হলে কি ক্ষতি হয়?

লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাব মেয়েদের একটি সাধারণ সমস্যা। এটি শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। কিন্তু যে কোনও বয়সের মেয়েকেই এই রোগ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পানির মত সাদা স্রাব কিসের লক্ষণ?

গর্ভাবস্থায় পানির মতো সাদা স্রাব স্বাভাবিক। এটি হরমোনের পরিবর্তনের কারণে। দুধের ছানার মতো সাদা স্রাবও গর্ভাবস্থায় দেখা দেয়।

এটি জরায়ু ফটিয়ে যাওয়ার এবং রক্তস্রাব হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।

সাদা স্রাব কি গর্ভধারণের লক্ষণ?

সাদা স্রাব একা একা গর্ভধারণের লক্ষণ নয়। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মাতৃত্ব হরমোনের কারণে সাদা স্রাব বেড়ে যেতে পারে।

মাসিক হওয়ার আগে সাদা স্রাব কেমন হয়?

মাসিক চক্রের আগে ১-২ দিন সাদা স্রাব দেখা যায়। এটি একটি স্বাভাবিক লক্ষণ। এই সাদা স্রাব বেদনাহীন হবে এবং ঘন, পাতলা বা স্বচ্ছ হতে পারে।

মাসিক চক্রের সময় এই স্রাব তীব্র হয়ে ওঠে।

মেয়েদের সাদা স্রাব বন্ধ কর?

সাদা স্রাব একা একা গর্ভধারণের লক্ষণ নয়। অতিরিক্ত সাদা স্রাব স্বাস্থ্যসমস্যার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Share your love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *