হার্ডওয়্যার হল কম্পিউটারের ভৌত অংশ। এতে সার্কিট বোর্ড, ICs এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স রয়েছে। আমরা এগুলো দেখতে ও স্পর্শ করতে পারি। হার্ডওয়্যার ছাড়া কম্পিউটারের কোন অস্তিত্ব নেই।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। ইনপুট ডিভাইস, আউটপুট ডিভাইস, প্রসেসিং ডিভাইস ও স্টোরেজ ডিভাইস। এই উপাদানগুলি মিলে কম্পিউটার কাজ করে।
হার্ডওয়্যার এর প্রকারভেদ
- ইনপুট ডিভাইস: কিবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম ইত্যাদি
- আউটপুট ডিভাইস: মনিটর, প্রিন্টার, প্রোজেক্টর ইত্যাদি
- প্রসেসিং ডিভাইস: CPU, GPU, মাদারবোর্ড ইত্যাদি
- স্টোরেজ ডিভাইস: হার্ড ডিস্ক, SSD, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি
এই সকল হার্ডওয়্যার উপাদানগুলি একসাথে কম্পিউটারকে কাজ করতে দেয়। এই হার্ডওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার কাজ করে না।
ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার
কম্পিউটারের ভিতরে ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার এর মধ্যে রয়েছে প্রসেসর (CPU), RAM, মাদারবোর্ড এবং পাওয়ার সাপ্লাই। এগুলো কম্পিউটারকে কাজ করতে সাহায্য করে।
প্রসেসর (CPU) কম্পিউটারের একটি মূল অংশ। এটি তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশনা অনুসরণ করে। মাদারবোর্ড হল CPU, RAM এবং অন্যান্য উপাদানের মধ্যে যোগাযোগের কেন্দ্র। পাওয়ার সাপ্লাই সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার উপাদানগুলি কম্পিউটারের শক্তি এবং কাজক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সংক্ষেপে, ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার হল কম্পিউটারের অন্তর্গত কম্পোনেন্ট। এগুলো কম্পিউটারকে কাজ করতে সক্ষম করে। এই উপাদানগুলি ছাড়া কম্পিউটার কাজ করতে পারে না।
এক্সটারনাল হার্ডওয়্যার
কম্পিউটারের ভিতরে নেই, বাইরে থাকে বিভিন্ন সংযোগ। এগুলোকে এক্সটারনাল হার্ডওয়্যার বলে। মনিটর, কিবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, স্ক্যানার, স্পিকার এই সব এক্সটারনাল হার্ডওয়্যারের উদাহরণ।
এই হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের কাজ করে তোলে। কম্পিউটারের ভিতরে থাকা হার্ডওয়্যারের মতোই এগুলোও কাজ করে।
কম্পিউটারের বাইরে থাকা এই হার্ডওয়্যার ডিভাইসগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন, যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান, প্রিন্টিং, স্টোরেজ ইত্যাদি।
বাহ্যিক হার্ডওয়্যার এর কিছু উদাহরণ হল:
- কীবোর্ড
- মাউস
- প্রিন্টার
- হার্ড ডিস্ক
- মনিটর
- স্পিকার
- হেডফোন
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটার ভাইরাস কি | WHAT IS A COMPUTER VIRUS?
এই এক্সটারনাল হার্ডওয়্যার ডিভাইসগুলো কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয়ে আরও বেশি কার্যকারিতা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যবহার করার সুবিধা প্রদান করে।
হার্ডওয়্যার এর প্রকারভেদ
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হল: ইনপুট ডিভাইস, আউটপুট ডিভাইস, প্রসেসিং ডিভাইস এবং স্টোরেজ ডিভাইস। এই সব ভাগের কাজ করে কম্পিউটার চলে।
ইনপুট ডিভাইস
ইনপুট ডিভাইস কম্পিউটারে তথ্য দেয়। এতে রয়েছে কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, মাইক্রোফোন, জয়স্টিক ইত্যাদি।
আউটপুট ডিভাইস
আউটপুট ডিভাইস কম্পিউটারের তথ্য দেখায়। এতে রয়েছে মনিটর, প্রিন্টার, প্রোজেক্টর, স্পিকার, হেডফোন ইত্যাদি।
প্রসেসিং ডিভাইস
প্রসেসিং ডিভাইস কম্পিউটার চলমান রাখে। এতে রয়েছে মাদারবোর্ড, মাইক্রোপ্রসেসর, র্যাম, রম, হার্ডডিস্ক, এজিপি কার্ড, ল্যান কার্ড ইত্যাদি।
স্টোরেজ ডিভাইস
স্টোরেজ ডিভাইস ডেটা সংরক্ষণ করে। এতে রয়েছে র্যাম, রম, হার্ড ডিস্ক, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি।
সংক্ষেপে, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হল: ইনপুট ডিভাইস, আউটপুট ডিভাইস, প্রসেসিং ডিভাইস এবং স্টোরেজ ডিভাইস। প্রতিটি ভাগের কাজ করে কম্পিউটার চলে।
ইনপুট ডিভাইস
কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ইনপুট ডিভাইস। এই ডিভাইসগুলি ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে তথ্য প্রদান করে। কিবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার এবং ওয়েবক্যামেরা সহ বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইস কম্পিউটারের সাথে মানুষের ইন্টারঅ্যাকশনকে সহজ করে তোলে।
আধুনিক কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরণের ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- কিবোর্ড
- মাউস
- স্ক্যানার
- ওয়েবক্যামেরা
- লাইট পেন
- গ্রাফিক্স ট্যাবলেট
- ডিজিটাল ক্যামেরা
- বারকোড রিডার
- টাচস্ক্রিন
- জয়স্টিক
- গেমপ্যাড
- মাইক্রোফোন
- ট্র্যাকবল
- ট্যাচপ্যাড
- স্টাইলাস
- MIDI কীবোর্ড
- ডেটা গ্লোভ
- মোশন সেন্সর
- বায়োমেট্রিক স্ক্যানার
- ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেম
এই ইনপুট ডিভাইসগুলি ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে তথ্য প্রদান করে। এটি ব্যবহারকারীর কম্পিউটার ব্যবহার অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে।
আরও পড়ুনঃ আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে?
আউটপুট ডিভাইস
আউটপুট ডিভাইস হল কম্পিউটারের ভৌত অংশ। এগুলো ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারের তথ্য দেখায়। আউটপুট ডিভাইস হল কম্পিউটারের একটি মূল অংশ। এটি ব্যবহারকারীকে কম্পিউটারে প্রক্রিয়াকৃত তথ্য দেখায়।
আউটপুট ডিভাইস উদাহরণ
- মনিটর
- প্রিন্টার
- প্রোজেক্টর
- স্পিকার
- জিপিএস
- সাউন্ড কার্ড
- ভিডিও কার্ড
- প্লটার
- রিফ্রেশএবল ব্রেইল ডিসপ্লে
আউটপুট ডিভাইসের কাজ হল বিভিন্ন রূপে তথ্য প্রদর্শন করা। এগুলো পাঠ্য, অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স প্রদর্শন করে।
সফ্ট কপি আউটপুট ডিভাইস মনিটরে ডিজিটাল ডকুমেন্ট দেখায়। অন্যদিকে, হার্ড কপি আউটপুট ডিভাইস কাগজে বা অন্য পদার্থে তথ্য প্রদর্শন করে।
বলা যায়, আউটপুট ডিভাইস ব্যবহার বেড়েছে। এটি তাদের দক্ষতা ও কার্যকারিতা উন্নত করেছে। এখন ব্যবহারকারীরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে।
প্রসেসিং ডিভাইস
কম্পিউটারের প্রসেসিং ডিভাইস হল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ইনপুট থেকে ডেটা প্রক্রিয়া করে আউটপুট তৈরি করে। এতে প্রোসেসর (CPU), গ্রাফিক্স কার্ড, এবং চিপসেট সহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।
এই ডিভাইসগুলি কম্পিউটারের কাজ করে। তারা ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও পরিচালনা করে।
কম্পিউটারের ভিতরে এগুলি কাজ করে। কিন্তু ব্যবহারকারীর কাছে সর্বদা স্পষ্ট হয় না। এগুলি কম্পিউটারের সকল কাজ পরিচালনা করে।
কম্পিউটারের প্রসেসিং ডিভাইসগুলির মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হল:
- প্রোসেসর (CPU): কম্পিউটারের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রসেসিং ডিভাইস।
- গ্রাফিক্স কার্ড: গ্রাফিক্স ও ভিডিও প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত একটি প্রসেসিং ডিভাইস।
- চিপসেট: কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের একটি অংশ।
এই প্রসেসিং ডিভাইসগুলি কম্পিউটারের কাজ করে। তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং বিভিন্ন সফ্টওয়্যার চালায়।
স্টোরেজ ডিভাইস
স্টোরেজ ডিভাইস হল কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে ডেটা স্থায়ীভাবে বা সাময়িকভাবে সংরক্ষিত হয়। স্টোরেজ ডিভাইস এ ডেটা এবং ফাইল সংরক্ষিত থাকে। ব্যবহারকারীরা এগুলো প্রয়োজন মত ব্যবহার করতে পারেন।
কম্পিউটার স্টোরেজ ডিভাইস এর মধ্যে হার্ডডিস্ক এবং ফ্ল্যাশ ড্রাইভ প্রধান। হার্ডডিস্ক কম্পিউটারের ভিতরে বসে থাকে। এটি বিভিন্ন ধরনের ডেটা সংরক্ষণ করে।
অন্যদিকে, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা ইউএসবি ড্রাইভ হল একটি মোবাইল স্টোরেজ ডিভাইস। এটি সহজে সংযোগ করা যায় এবং কম্পিউটার থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়।
এসএসডি (Solid State Drive), এমএসডি (Memory Stick Drive), এসডি কার্ড ইত্যাদি অন্যান্য উদাহরণ। এই সকল ডিভাইস ডেটা সংরক্ষণ করে। ব্যবহারকারীরা এগুলো প্রয়োজন মত ব্যবহার করতে পারেন।
FAQ
হার্ডওয়্যার কি?
হার্ডওয়্যার হল কম্পিউটারের ভৌত অংশ। আমরা এগুলো দেখতে ও স্পর্শ করতে পারি। এতে সার্কিট বোর্ড, আইসি চিপ, ম্যাগনেটিক ডিস্ক সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স উপকরণ রয়েছে।
হার্ডওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার কাজ করে না।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি?
কম্পিউটারের ভৌত অংশকে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলে। এতে কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার, স্ক্যানার, স্পিকার ইত্যাদি রয়েছে।
ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার কি?
কম্পিউটারের ভিতরের অংশকে ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার বলে। এতে প্রসেসর, RAM, মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাই ইত্যাদি রয়েছে।
এক্সটারনাল হার্ডওয়্যার কি?
কম্পিউটারের বাইরের অংশকে এক্সটারনাল হার্ডওয়্যার বলে। এতে মনিটর, কিবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, স্ক্যানার, স্পিকার ইত্যাদি রয়েছে।
হার্ডওয়্যারের প্রকারভেদ কি কি?
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে চারটি প্রধান ধরনে ভাগ করা যায়। এগুলো হল ইনপুট ডিভাইস, আউটপুট ডিভাইস, প্রসেসিং ডিভাইস এবং স্টোরেজ ডিভাইস।
ইনপুট ডিভাইস কি?
ইনপুট ডিভাইস হল কম্পিউটারে তথ্য প্রদানকারী হার্ডওয়্যার। এতে কিবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, ওয়েবক্যামেরা ইত্যাদি রয়েছে।
আউটপুট ডিভাইস কি?
আউটপুট ডিভাইস হল কম্পিউটার থেকে তথ্য প্রদানকারী হার্ডওয়্যার। এতে মনিটর, প্রিন্টার, প্রোজেক্টর ইত্যাদি রয়েছে।
প্রসেসিং ডিভাইস কি?
প্রসেসিং ডিভাইস হল কম্পিউটারে তথ্য প্রক্রিয়াকরণকারী হার্ডওয়্যার। এতে প্রোসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড, চিপসেট ইত্যাদি রয়েছে।
স্টোরেজ ডিভাইস কি?
স্টোরেজ ডিভাইস হল কম্পিউটারে ডেটা সংরক্ষণকারী হার্ডওয়্যার। এতে হার্ডডিস্ক, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি রয়েছে।