সহবাসের পরে মাসিক না হলে এটা গর্ভাবস্থার লক্ষণ হতে পারে। এই সময়ে একজন নারীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অতি গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়মিত মাসিক চক্র বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি নারীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি নির্দেশক।
মাসিক চক্রের অনিয়মিততা গর্ভধারণ এবং প্রজনন সমস্যাকে প্রভাবিত করতে পারে।
সহবাসের পর মাসিক না হলে জরুরি গর্ভনিরোধক পদ্ধতি একটি বিকল্প হতে পারে। কিন্তু মাসিক চক্রের অনিয়মিততা হলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা অপরিহার্য।
মাসিক চক্রের কার্যকারিতা এবং সুবিধা
মাসিক চক্র নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি জন্মনিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে, মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং গর্ভধারণ প্রতিরোধ করা যায়।
কার্যকারিতা
মিশ্র বড়ি সঠিকভাবে গ্রহণ করলে প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ কার্যকরী। এটি একটি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। যেকোনো সময় গর্ভধারণ করা অথবা অন্য পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়।
সুবিধা
সকল বয়সী মহিলা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসাবে খাবার বড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এটি মাসিক চক্রকে নিয়মিত রাখতে সহায়তা করে। সঠিকভাবে খেলে বড়ি অত্যন্ত কার্যকারী (শতকরা ৯৭-৯৯.৯ ভাগ) এবং প্রতি দিন খেতে হয়।
বিষয় | সুবিধা |
---|---|
কার্যকরিতা | প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ |
ব্যবহার | সকল বয়সী মহিলারা ব্যবহার করতে পারেন |
মাসিক চক্র | মাসিক চক্রকে নিয়মিত রাখে |
গর্ভধারণ | গর্ভধারণকে প্রতিরোধ করে |
খাবার বড়ির অসুবিধা
খাবার বড়ি ব্যবহার করার সময় কিছু সমস্যা হতে পারে। এগুলির মধ্যে রয়েছে প্রতিদিন খাওয়ার প্রয়োজন, মাসিক স্রাব বন্ধ হওয়া, যোনিপথে পিচ্ছিলতা কমে যাওয়া, বুকের দুধ কমে যাওয়া এবং বিমর্ষতা। প্রথম ৩-৪ মাসের মধ্যে এই সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে।
খাবার বড়ি ব্যবহারকারী মহিলাদের মধ্যে খাবার বড়ির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, মাসিক স্রাব, যোনিপথের পিচ্ছিলতা, বুকের দুধ এবং বিমর্ষতা দেখা দিতে পারে। এগুলি প্রথম ৩-৪ মাসের মধ্যে ছোট খাট হতে পারে যদিও সাধারণত স্থায়ী নয়।
খাবার বড়ি ব্যবহারে কিছু প্রাথমিক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কিন্তু সাধারণত এগুলি স্থায়ী নয় এবং প্রস্তুতির পরে কমে যায়। চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে এই প্রতিক্রিয়াগুলির ব্যাপারে যত্নশীল থাকা উচিত।
খাবার বড়ি ব্যবহারে বিবেচনা
বাংলাদেশে খাবার বড়ি ব্যবহার করা কিছু বিষয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। গর্ভকালীন যত্নের সময় শিশুকে বুকের দুধ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে খাবার বড়ি দেওয়া উপযোগী নয়।
মাতৃদক্ষতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য খাবার বড়ি ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ। মায়েরা বুকের দুধ দেওয়ার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস লাভ করেন। এটি তাদের সামাজিকভাবে সক্রিয় করে তোলে। কিন্তু খাবার বড়ি দেওয়া এটি সম্ভব করে না।
কিছু বিশেষ অবস্থায় খাবার বড়ি প্রয়োজন হতে পারে। যেমন, যদি মা বুকের দুধ দিতে না পারেন। বা শিশুর জন্য বুকের দুধ যথেষ্ট না হয়। এই ক্ষেত্রে খাবার বড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করা উচিত।
খাবার বড়ি ব্যবহারে বিবেচনা
- প্রসবের ৬ মাসের মধ্যে শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে হবে
- বুকের দুধ পান না করাতে পারলে খাবার বড়ি প্রদান করা যেতে পারে
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা জরুরি
- মায়েদের মাতৃত্বজনিত স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাস বিবেচনা করা প্রয়োজন
সমগ্রে, বাংলাদেশে খাবার বড়ি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত ও সামাজিক বিবেচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর প্রতি দায়বদ্ধতা ও মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য এ ক্ষেত্রে প্রধান বিষয়গুলি।
সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
সহবাসের পর মাসিক না হলে কিছু করা দরকার। প্রথমে, জরুরি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা উচিত। এটি অরক্ষিত যৌন সম্পর্কের পর গর্ভ আটকাতে সাহায্য করে।
এর পরে, প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। মাসিক ঋতুর সম্ভাব্য সাইকেল আনুমানিক বের করা যায়।
গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি গর্ভাবস্থা আছে কি না বলতে পারেন। এছাড়াও, বিকল্প গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে, সহবাসের পরে মাসিক না হলে গর্ভধারণের লক্ষণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে সচেতন থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
কিশোর-কিশোরীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কিশোর-কিশোরীরা বয়ঃসন্ধিকালে প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করে। এই সময়ে তারা শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন অনুভব করে। এই বয়সে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।
এটি তাদের নিজেদের যত্ন নিতে সাহায্য করে। এবং স্বাস্থ্য ও সুখী জীবন পরিচালনায় সহায়তা করে।
কেন কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা দরকার?
প্রজনন ক্ষমতা অর্জনের সাথে সাথে কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সে তারা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে।
সঠিক তথ্য ও পরামর্শ না পাওয়ার ফলে তারা ভুল পথে চলতে শুরু করতে পারে। এই বয়সে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন
বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের শরীর ও মনে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে।
- উচ্চতা ও ওজন বৃদ্ধি
- শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে লোম গজানো
- যৌন অঙ্গের বৃদ্ধি
- বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ
- লাজুক ভাব
- আবেগপ্রবণতা
- বন্ধুদের প্রতি নির্ভরতা বৃদ্ধি
এই পরিবর্তনগুলি কিশোর-কিশোরীদের জীবনে বড় ভূমিকা পালন করে। এই সময়ে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
কিশোরীদের মাসিক সমস্যা এবং সমাধান
কিশোরী বয়সে মেয়েদের শরীর বিশেষ পরিবর্তন হয়। এটি সেক্স হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই পরিবর্তনের ফলে প্রতি মাসে রক্তস্রাব হয়। এটিকে মাসিক বলে।
কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু সমস্যা থাকে। এগুলো মেয়েদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
মাসিক কেন হয়?
মাসিক রক্তস্রাব হওয়ার মূল কারণ হল গর্ভাশয়ের স্রাবের প্রক্রিয়া। যখন একটি ডিম কোষ বাইরে নিঃসৃত হয়।
এবং গর্ভধারণ হয় না, তখন গর্ভাশয়ের শিরাতন্ত্রী রক্তস্রাবিত হয়ে ক্রমশ গ্রহণযোগ্য হয়ে আসে। এই রক্তস্রাবকে মাসিক বলা হয়।
মাসিক সময় সমস্যা এবং সমাধান
মাসিকের সময়টি সবসময়ই সুবিধা মনে হয় না। পেট ব্যথা, অতিরিক্ত রক্তস্রাব বা মাসিক বন্ধ থাকা সমস্যা হতে পারে।
এই সমস্যাগুলির সমাধানে ঘরোয়া প্রতিকার কার্যকরী হতে পারে। যেমন গরম পানি দিয়ে সেঁক বা গরম পানিতে গোসল।
যদি সমস্যাটা মোকাবেলা করতে না পারেন, তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত রক্তস্রাব বা মাসিক বন্ধ থাকা সমস্যা হলো একটি সাধারণ সমস্যা। এই ধরনের সমস্যা হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
সারাংশ, কিশোরীদের মাসিক সংক্রান্ত সমস্যাগুলি হলো পেট ব্যথা, অতিরিক্ত রক্তস্রাব এবং মাসিক বন্ধ থাকা। এই সমস্যাগুলির সমাধানে ঘরোয়া প্রতিকার কার্যকরী হতে পারে।
যেমন গরম পানি দিয়ে সেঁক বা গরম পানিতে গোসল। যদি সমস্যাটা মোকাবেলা করতে না পারেন, তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কিশোরীদের মাসিক ব্যবস্থাপনা
মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা কিশোরীদের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক। এটি স্বাস্থ্যকর কারণ এটি পরিচ্ছন্নতা এবং সুস্থতার জন্য ভালো।
প্যাড ব্যবহার করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে:
- একবারের বেশি বার একই প্যাড ব্যবহার করা উচিত নয়।
- কাপড় ব্যবহার করার পর ভালভাবে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে।
- মাসিকের সময় স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
কিশোরীদের মাসিক ব্যবস্থাপনায় স্যানিটারি প্যাড, কাপড় এবং যত্নপূর্ণ স্বাস্থ্য রক্ষা মূল ভূমিকা পালন করে। এই তিনটি বিষয়কে ভালভাবে মেনে চললে কিশোরীরা মাসিক পর্বে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে পারেন।
জরুরি গর্ভনিরোধক ব্যবহার
জরুরি গর্ভনিরোধক হল একটি উপায় যা অরক্ষিত মিলনের পরে ব্যবহার করা হয়। এতে মর্নিং-আফটার পিল এবং ইলা পিল রয়েছে। এগুলো ডিম্বস্ফোটন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে গর্ভধারণ রোধ করার চেষ্টা করে।
জরুরি গর্ভনিরোধক কি?
এই পিলগুলি যৌনমিলনের ৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। আইইউডি সবচেয়ে কার্যকর হয়, ৯৯% কার্যকর। অরক্ষিত মিলনের পরে এগুলো স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীর দ্বারা লাগাতে হবে।
ইলা পিল যৌনমিলনের ৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ঋতুস্রাবের ৫ দিনের মধ্যে লাগাতে হবে। প্রয়োজনে গ্রাহকের অনুমতি নিতে হবে।
টেস্টের জন্য আপনার যৌনাঙ্গ এবং গলা এবং মলদ্বার থেকে নমুনা নেওয়া প্রয়োজন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করলে রিসেপশনের সদস্য কে অবহিত করা হবে।
জরুরী পরামর্শে কর্মীরা ডিম্বস্ফোটনের পাঁচ দিন পর্যন্ত উপস্থিত থাকার বরণপত্র পাঠিয়ে থাকতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলি কার্যকর হলেও, বিভিন্ন ধরনের গর্ভ সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। এগুলো চিকিত্সার প্রয়োজন হতে পারে।
প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক পদ্ধতি
অরক্ষিত মিলনের পরে বা মাসিক না আসার ক্ষেত্রে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি আছে। ঝিনুক গাছের পাতা বা লেবুর রস ব্যবহার করা হয় এই পদ্ধতির অন্তর্গত।
এই পদ্ধতিগুলি গর্ভধারণ এবং অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এগুলি স্বাস্থ্যসম্মত এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি কম প্রভাবশালী। সঠিক নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। সহবাসের কিছু মাস আগে থেকে এই পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করতে হবে। অবশ্যই নিয়মিত কনসালটেশন নিতে হবে।
অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে ঝিনুক গাছের পাতা বা লেবুর রস পান করা বা আয়ুর্বেদিক ঔষধ সেবন করা সহায়ক। এই পদ্ধতিগুলি অনেক সময় কার্যকরী হয়।
তবে এই পদ্ধতিগুলির ফলাফল সবসময় নিশ্চিত নয়। ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। যদি সমস্যা কমলেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সম্প্রতি বিকশিত একটি অ্যাপ্লিকেশন “Nature Cyclical” আছে। এটি ব্রিটেনে এনএইচএস দ্বারা সুপারিশ করা এবং ২০১৮ সালে আমেরিকায় এফডিএ দ্বারাও অনুমোদিত হয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশনের সাফল্যহার প্রায় ৯৩%।
চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া
যদি সহবাসের পরে মাসিক না আসে, তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিত্সক পরীক্ষা করে সঠিক পরামর্শ দেবেন। নিয়মিত মাসিক চক্রে বিঘ্ন হলে বা গর্ভধারণ সম্ভাবনা থাকলে তাৎক্ষণিক চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়ার কারণ হল:
- মাসিক চক্রে বিঘ্ন হলে, যেমন মাসিক আসা যখন অপেক্ষাকৃত এর বাদ দেওয়া সময়ে আসে অথবা এর মধ্যে ২-৩ বার আসে
- গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকলে
- মাসিক চক্রের সমস্যা হলে, যেমন প্রচুর রক্তস্রাব, যন্ত্রণা, অথবা অস্বাভাবিক রক্তস্রাবের সমস্যা
- বিকল্প গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করা প্রয়োজন হলে
চিকিত্সকের পরামর্শের মাধ্যমে আপনি যেসব পরীক্ষা এবং স্পষ্ট নির্দেশ পেতে পারেন তা হল:
- প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, যেমন রক্ত পরীক্ষা, হরমোন পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড
- গর্ভধারণ হলে, গর্ভাবস্থা পরীক্ষা এবং নির্দেশিকা
- যদি মাসিক চক্র বিঘ্নিত হয়, তাহলে হরমোন চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া
- বিকল্প গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য পরামর্শ
চিকিত্সকের পরামর্শ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি আপনার প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা নিরূপণ ও সমাধানে সহায়তা করবে।
বিকল্প গর্ভনিরোধক পদ্ধতি
সহবাসের পর মাসিক না হওয়ার সমস্যা হলে বিভিন্ন প্রকার বিকল্প গর্ভনিরোধক পদ্ধতি রয়েছে। যেমন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, কনডম, আই.ইউ.ডি. (internal uterine device) এবং ইমপ্লান্ট (implant)। এই পদ্ধতিগুলি সহবাসের পর গর্ভধারণকে প্রতিরোধ করতে পারে। যদি একটি পদ্ধতি ব্যর্থ হয়, তাহলে অন্য পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শে।
জরুরী গর্ভনিরোধক পদ্ধতি সহবাসের পর গর্ভধারণকে প্রতিরোধ করতে পারে। নরেষ্টনিনিং গর্ভনিরোধক ৯৮% কার্যকরী। গর্ভনিরোধক ইমপ্লান্ট স্থাপন ৯৯.৯% এর অধিক কার্যকর। কনডম গর্ভধারণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং যৌনবাহিত সংক্রামক ইনফেকশন (STIs) প্রতিরোধেও ৭৯% থেকে ৮২% এর মতো কার্যকর।
বিকল্প গর্ভনিরোধক পদ্ধতি | কার্যকারিতা |
---|---|
জরুরী গর্ভনিরোধক | ৮৫% পর্যন্ত |
নরেষ্টনিনিং | ৯৮% |
গর্ভনিরোধক ইমপ্লান্ট | ৯৯.৯% এর অধিক |
কনডম | ৭৯% থেকে ৮২% |
গর্ভনিরোধক পিলস | ৯১% থেকে ৯৯.৭% |
আই.ইউ.ডি. | ৮৮% থেকে ৯৬% |
প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা | ৭৬% থেকে ৯৯% |
এই বিকল্পগুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করা যায়। যেকোনো সংশয় হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সমাপ্তি
সহবাসের পর মাসিক না আসা একটি সাধারণ উদ্বেগ। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং চিকিত্সকের পরামর্শ নিলে এটি সমাধান করা সম্ভব। আইইউডি, জরুরি গর্ভনিরোধক এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি গর্ভধারণ এড়াতে কার্যকর।
চিকিত্সকের পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে মাসিক অনিয়মিত হলে। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং চিকিত্সকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
মাসিক চক্রের আকার এবং ঘনত্ব অনুযায়ী গর্ভধারণের সম্ভাবনা বিভিন্ন হতে পারে। এই তথ্য ব্যবহার করে মাসিক চক্রের কার্যকারিতা এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা সম্পর্কে নির্ভুলভাবে জানা যায়।
সহবাসের পর মাসিক না আসার উদ্বেগ করার কিছু নেই। শুধু চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলেই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। প্রাকৃতিক পদ্ধতি, জরুরি গর্ভনিরোধক এবং চিকিত্সকের পরামর্শ মাসিক না আসার সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে।
FAQ
সহবাসের পর মাসিক না আসলে কি করা উচিত?
সহবাসের পর মাসিক না আসলে জরুরি গর্ভনিরোধক গ্রহণ করুন। প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করুন। চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। বিকল্প গর্ভনিরোধক পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
মাসিক চক্রের কার্যকারিতা কি?
মাসিক চক্র একটি অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি যে কোন সময় বড়ি ছেড়ে দিতে পারে। এটি নিয়মিত করে মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।
মাসিক চক্রের সুবিধা কি?
মাসিক চক্র নিয়মিত করে প্রতিদিন খেতে হয়। এটি মাসিক স্রাব বন্ধ করতে পারে। যোনিপথের পিচ্ছিলতা কমে যায়।
Bুকের দুধ কমে যায়। বিমর্ষতা দেখা দেয়। প্রথম ৩-৪ মাসের মধ্যে ছোট খাট পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
খাবার বড়ির কোন অসুবিধা রয়েছে?
খাবার বড়ি গ্রহণে প্রথম ৩-৪ মাসের মধ্যে ছোট খাট পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মাসিক স্রাব বন্ধ থাকতে পারে।
যোনিপথের পিচ্ছিলতা কমে যেতে পারে। বুকের দুধ কমে যেতে পারে। বিমর্ষতা দেখা দিতে পারে।
খাবার বড়ি ব্যবহারে কি বিবেচনা করা উচিত?
প্রসবের ৬ মাসের মধ্যে শিশুকে বুকের দুধ পান করালে খাবার বড়ি প্রদান করা যাবে না। পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা প্রয়োজন।
সহবাসের পর মাসিক না হলে কি করা উচিত?
সহবাসের পর মাসিক না হলে জরুরি গর্ভনিরোধক গ্রহণ করুন। প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করুন। চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
বিকল্প গর্ভনিরোধক পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা কেন প্রয়োজন?
কিশোর-কিশোরীরা বয়ঃসন্ধিকালে প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। এই সময় থেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রয়োজন। তারা নিজেদের যত্ন নিতে পারে।
ভুল পথে না যাওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বয়ঃসন্ধিকালীন কি পরিবর্তন হয়?
বয়ঃসন্ধিকালে উচ্চতা ও ওজন বৃদ্ধি পায়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে লোম গজায়। যৌন অঙ্গের বৃদ্ধি দেখা দেয়।
বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। লাজুক ভাব এবং আবেগপ্রবণতা দেখা দেয়। বন্ধুদের প্রতি নির্ভরতা বৃদ্ধি পায়।
মাসিক কেন হয়?
মেয়েদের শরীরের বিশেষ পরিবর্তন হিসেবে মাসিক শুরু হয়। এটি সেক্স হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
প্রতি মাসে যোনিপথ দিয়ে রক্তস্রাব হয়। এটিকে মাসিক বলে।
মাসিক সময় কি সমস্যা হতে পারে এবং কিভাবে সমাধান করা যায়?
মাসিকের সময় পেট ব্যথা হলে গরম পানি দিয়ে সেঁক বা গরম পানিতে গোসল করলে উপশম পাওয়া যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা মাসিক বন্ধ থাকলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাসিক ব্যবস্থাপনা কিভাবে করতে হবে?
মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করা উচিত। এক বারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
কাপড় ব্যবহার করলে ভালভাবে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে।
জরুরি গর্ভনিরোধক কি?
জরুরি গর্ভনিরোধক হল একধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি অরক্ষিত মিলন বা গর্ভনিরোধক ব্যর্থতার পরে গর্ভধারণ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে মর্নিং-আফটার পিল ও ইলা।
প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক পদ্ধতি কি?
অরক্ষিত মিলনের পরে বা মাসিক না আসার ক্ষেত্রে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। যেমন- ঝিনুক গাছের পাতা বা লেবুর রস ব্যবহার করা।
সহবাসের পর মাসিক না আসলে চিকিত্সকের পরামর্শ কেন দরকার?
যদি সহবাসের পরে মাসিক না আসে এবং জরুরি গর্ভনিরোধক বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিও কাজ না করে, তাহলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক পরামর্শ দেবেন।
বিকল্প গর্ভনিরোধক পদ্ধতি কি?
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, কনডম, আই.ইউ.ডি., ইমপ্লান্ট ইত্যাদি বিভিন্ন গর্ভনিরোধক পদ্ধতি রয়েছে। যদি একটি পদ্ধতি ব্যর্থ হয়, তাহলে অন্য পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে চিকিত্সকের পরামর্শে।