জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পায়। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল হিসেবে পরিচিত। এটি নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ ও গাইনি সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯৬১ সালে ব্রিটিশ পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশন এটি অনুমোদন করে। কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সবচেয়ে কম, সেটি নারীদের জন্য তৈরি করা হয়।
কোন পিল সবচেয়ে ভালো
বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল আছে। যেমন, কম্বাইন্ড ওরাল পিল, প্রোজেস্টেরন অনলি পিল এবং ইমার্জেন্সি পিল। প্রতিটি পিলের নিজস্ব সুবিধা এবং সমস্যা আছে। ভারী মাসিক হলে ওপিল খাওয়া যাবে কি, ওপিল খেলে কি দাগ হয় তা নিয়ে প্রশ্ন থাকে।
কম্বাইন্ড ওরাল পিল
কম্বাইন্ড ওরাল পিল সাধারণত ব্যবহৃত হয়। এতে স্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন থাকে। এগুলো প্রতিদিন খাওয়া হয় এবং গর্ভধারণের ক্ষমতা প্রভাবিত হয়।
প্রোজেস্টেরন অনলি পিল
প্রোজেস্টেরন অনলি পিলে শুধু প্রোজেস্টেরন থাকে। এতে স্ট্রোজেন নেই। এগুলো প্রতিদিন খাওয়া হয় এবং অবারিত গর্ভধারণকে প্রতিরোধ করে।
ইমার্জেন্সি পিল
ইমার্জেন্সি পিল গর্ভধারণ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো অনিয়মিত মাসিক চক্রের কারণ হতে পারে। ভারী মাসিক হলে ওপিল খাওয়া যাবে কি, ওপিল খেলে কি দাগ হয় জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ইতিহাস
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ইতিহাস আমেরিকায় শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালের মে মাসে। তখন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই পিলকে গর্ভনিরোধের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল।
প্রথম প্রজন্মের পিল
১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশন এই পিলের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছিল। তারা বার্মিংহাম এবং স্লোয়ে কয়েকশো বিবাহিত নারীর উপর পরীক্ষা করেছিল। এই পিল মিনি পিল কিভাবে কাজ করে ডিম্বস্ফোটন বন্ধ করে এবং মিনি পিল কখন বন্ধ করতে হয় সেটি নির্ধারণ করে।
দ্বিতীয় প্রজন্মের পিল
সময়ের সাথে সাথে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল আরও উন্নত হয়ে ১৯৭০ দশকের দ্বিতীয় প্রজন্মের পিল আসে। এই পিল গর্ভাশয়ের শ্লীপ্রবাহ ও উর্ধ্বাধর অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করে যাতে গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করা যায়।
আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
আজকাল আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ক্রমশ কম হরমোন কন্টেন্ট নিয়ে আসা হয়েছে। এটি মানসিক অস্থিরতা কমিয়ে দিয়েছে গত কয়েকশো বছরের তুলনায়। এই পিল মিনি পিল কিভাবে কাজ করে অভ্যুদয় বন্ধ করে এবং মিনি পিল কখন বন্ধ করতে হয় নিয়ে স্পষ্টতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এভাবে মহিলাদের গর্ভনিরোধ, অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা, বেশি রক্তস্রাব, যাতনাদায়ক মাসিক সহ বিভিন্ন গায়নিকোলজিক সমস্যা সমাধানে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি কী এবং কীভাবে কাজ করে
পিল ব্যবহার করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু, ওপিল খেলে কি পিরিয়ড বন্ধ হয় এমন ধারণা আছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি একটি অন্য পদ্ধতি।
এটি শুধুমাত্র নারীদের জন্য তৈরি করা হয়। এটি হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে। ওপিল কি সত্যিই কাজ করে এমন প্রশ্ন থাকলেও, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বেশি পরিচিত।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে।
- ইনজেকশন কন্ট্রাসেপটিভ প্রতি তিন মাসে একবার নিতে হয়।
- কপার-টি পাঁচ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়।
- ইমপ্ল্যান্ট হরমোনমিশ্রিত একটি ক্যাপসুল, তিন বছরের অধিক সময় প্রটেকশন দেয়।
এখনও পুরুষদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি তৈরি করা হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে এটি সম্ভব হবে। নতুন পদ্ধতিতে পুরুষদের ভূমিকা বৃদ্ধি পাবে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের প্রকারভেদ
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের বিভিন্ন ধরন আছে। এগুলোর মধ্যে কম্বাইন্ড পিল, মিনি পিল এবং জরুরি গর্ভনিরোধক পিল সবচেয়ে প্রচলিত। এই পিলগুলো সঠিক সময়ে খাওয়া খুব জরুরি। যদি এটা না করা হয়, গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পিল সঠিকভাবে খেলে এটি ৯৯% কার্যকর হতে পারে।
কম্বাইন্ড পিল: এই পিলে এস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন থাকে। দুটি হরমোন একসাথে মিশেছে বলে এর নাম কম্বাইন্ড পিল। এটি গর্ভধারণকে প্রতিরোধ করে এবং রক্তস্রাব মাসিকের ব্যবধান নিয়ন্ত্রণ করে।
মিনি পিল: এই পিলে শুধুমাত্র প্রোজেস্টেরন হরমোন থাকে। এটি গর্ভধারণকে প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষভাবে দুর্বল ও স্তন্যদানরত মায়েদের জন্য পরিচিত।
জরুরি গর্ভনিরোধক পিল: এই পিলটি টিনেজার অ্যাডোলেসেন্টদের জন্য এবং অপ্রত্যাশিতভাবে কন্ডোম ফেইল হলে বা যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবহৃত হয়। এটি এস্ট্রোজেন বা প্রোজেস্টেরন অ্যামউন্ট বেশি থাকে।
সংক্ষেপে, সঠিক প্রকারের পিল নির্বাচন এবং সঠিক ভাবে গ্রহণ করার মাধ্যমে পিল খেলে ৯৯% পর্যন্ত গর্ভধারণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু ভুল ব্যবহারে গর্ভপাত হতে পারে।
পিল খাওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মাসিক চক্রের প্রথম দিন থেকে শুরু করুন। প্রতিদিন একই সময়ে পিল খাওয়া প্রয়োজন।
পুরুষদের জন্য ওপিল নেই। তাদের ওপিল খাওয়া উচিত নয়। গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী মা এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা আছে এমন নারীদের পিল খাওয়া উচিত নয়।
মাসিকের চক্র অনুযায়ী পিল গ্রহণ
পিল খাওয়ার সময়সূচি মাসিক চক্রের প্রথম দিন থেকে গণনা করুন। এটি আপনার পিল সফলভাবে কাজ করছে এবং আপনি গর্ভবতী হচ্ছেন না সুনিশ্চিত করে।
নিয়মিত মাসিক চক্র না থাকলে, আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
দৈনিক পিল খাওয়ার সময়সূচি
প্রতিদিন একই সময়ে পিল গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার শরীরে পিলের স্থির স্তর বজায় রাখে।
আপনি ভুলে গেলে বা এক দিন পিল না খেলে, আপনার জন্য অতিরিক্ত জরুরি পিল গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সংক্ষেপে, মাসিক চক্রের প্রথম দিন থেকে পিল গ্রহণ শুরু করুন। প্রতিদিন একই সময়ে পিল খাওয়া প্রয়োজন।
পুরুষদের ওপিল খাওয়া উচিত নয়। গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী মা এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা আছে এমন নারীদের পিল খাওয়া উচিত নয়।
পিল খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার সাথে কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, স্তনে ব্যথা এবং মেজাজ পরিবর্তন। কিছু ক্ষেত্রে, ওপিল কি ব্রণের জন্য ভালো হতে পারে কারণ এটি ব্রণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কিন্তু, এর বিপরীতেও পিল খাওয়ার ফলে ওপিল খেলে কি ওজন বাড়ে কিছু নারীর ক্ষেত্রে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত সাময়িক হয় এবং সময়ের সাথে সাথে কমে যায়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, শারীরিক সম্পর্কের পর জরুরি গর্ভনিরোধক পিল ব্যবহারে 98% সাফল্যের হার রয়েছে। অন্যদিকে, জরুরি গর্ভনিরোধক পিল ব্যবহারের সাথে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
এগুলির মধ্যে রয়েছে হালকা অসুস্থতা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, স্তনে ব্যথা, পিরিয়ডের অনিয়ম, যোনিপথে রক্তস্রাব এবং গুরুতর ঝুঁকিগুলির মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, রক্তজমাট, স্ট্রোক।
এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সামান্য হতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে কমে যায়। তবে, জরুরি গর্ভনিরোধক পিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত এবং ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
সাধারণত, পিল খাওয়ার সাথে সাথে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাময়িক হয় এবং সময়ের সাথে কমে যায়। যদি এই কোনও প্রতিক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী হয় বা গুরুতর হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কাদের জন্য পিল উপযোগী নয়
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল পাওয়া যায়। কিন্তু সর্বোত্তম পিল নির্বাচন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থার উপর নির্ভর করে। কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে যাদের জন্য পিল ব্যবহার উপযুক্ত নয়।
স্বাস্থ্যগত সমস্যা
যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা যকৃতের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য পিল ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত পদ্ধতি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
বয়স সীমা
৩৫ বছরের বেশি বয়সী ধূমপায়ী নারীদের জন্য পিল ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই বয়সের পর, প্রতিস্থাপক পদ্ধতি বেছে নেওয়া উচিত, যেমন আইইউডি বা নরওয়েস্টেক৷ বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল কোনটি সে বিষয়ে চিকিৎসক সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন।
সঠিক বয়স এবং স্বাস্থ্য অবস্থার জন্য উপযুক্ত পিল নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করে মূলত তাদের সুপারিশ পিল ব্যবহার করা উচিত।
পিল ব্যবহারে সতর্কতা
কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। কিন্তু পিল খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। নিয়মিতভাবে এবং সঠিক সময়ে পিল খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার সময় পিলের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
অনেক মহিলা প্রোজেস্টিন-অনলি বা মিনি পিলের অনুকূল পায়। এই পিলগুলিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়।
- পিল নিয়মিত এবং যথাসময়ে খাওয়া
- অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার সাথে পিলের সংমিশ্রণ এড়ানো
- প্রোজেস্টিন-অনলি পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে কম
কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হতে পারে। যদি পিল গ্রহণকারী ব্যক্তি এই সতর্কতাগুলি মেনে চলেন।
পিলের কার্যকারিতা
সঠিকভাবে পিল ব্যবহার করলে এর সফলতা বেশি। মিনি পিল প্রোজেস্টেরন হরমোন দিয়ে তৈরি। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নির্গমন প্রতিরোধ করে। এই পিলগুলি ৯৯% কার্যকর।
কিন্তু পিল ব্যর্থ হওয়ার কারণ কিছু। এগুলি হল-
- অনিয়মিত ব্যবহার
- বমি হওয়া বা ডায়রিয়া হওয়া
সফলতার হার
নিয়মিত এবং সঠিকভাবে মিনি পিল খেলে গর্ভধারণ প্রতিরোধের হার ৯৯% পর্যন্ত। যদি চক্রের প্রথম সপ্তাহে পিল খাওয়া বাদ দেওয়া হয়, তাহলে গর্ভধারণের ঝুঁকি বাড়ে।
উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষেত্রে পিল খাওয়ার মধ্যে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় বিলম্ব হলে এর প্রভাব কমে যেতে পারে।
ব্যর্থতার কারণ
মিনি পিল ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ হল অনিয়মিত ব্যবহার। পিল বাদ দেওয়া, বমি হওয়া বা ডায়রিয়া হলে গর্ভধারণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মিনি পিল ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য হল অনুমোদিত গর্ভধারণ কমানো এবং অনিচ্ছিত গর্ভধারণ এড়াতে সহায়তা করা। যদিও এই পিলগুলি খুব কার্যকর, তবুও সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে তার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
এই জন্যই পিল খাওয়ার নিয়ম ও সময় সাবধানতার সাথে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জরুরি গর্ভনিরোধক পিল
অরক্ষিত যৌন সম্পর্কের পর ৭২ ঘন্টার মধ্যে ওপিল নেওয়া যেতে পারে। এটি গর্ভধারণ প্রতিরোধে ৯৮% কার্যকর হতে পারে। কিন্তু, ওপিল খেলে কি পিরিয়ড বন্ধ হয় এবং বমি, মাথাব্যথা এবং মেজাজ বদলে যাওয়া প্রভৃতি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
যদি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পিলটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে এটি কাজ করে। বাজারে ১-ডোজ বা ২-ডোজ ওপিল পাওয়া যায়। ওপিল কি সত্যিই কাজ করে সে বিষয়ে সন্দেহ থাকলে স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ওপিল নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল হিসাবে ব্যবহার করা উচিত নয়, দীর্ঘমেয়াদী কর্মক্ষম পদ্ধতি হিসাবে কপার আইইউডি সর্বোত্তম।
- ওপিল যৌন সংক্রান্ত রোগ থেকে রক্ষা করে না এবং বর্তমান সংক্রমণের চিকিৎসা সরবরাহ করে না।
- গর্ভবতী মহিলারা ওপিল ব্যবহার করা উচিত নয়।
অরক্ষিত যৌন সম্পর্কের পর ওপিল নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পিল খাওয়ার ২ ঘন্টার মধ্যে যদি ভাইটিং হয় তবে আরও একটি পিল নিতে হতে পারে।
পিল এবং মাসিক চক্র
পিল মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিয়মিত করে। ভারী মাসিকের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওপিল খাওয়া যেতে পারে। পিল খাওয়ার শুরুতে অনিয়মিত রক্তস্রাব বা দাগ দেখা দিতে পারে। কিন্তু সাধারণত কয়েক মাসের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যায়।
মাসিক চক্রে জটিলতা থাকলে বা ভারী মাসিক হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওপিল খাওয়া যেতে পারে। যদিও ওপিল খেলে কিছুটা দাগ হতে পারে, এটা সাধারণত মাত্র কয়েক মাস স্থায়ী হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- মিশ্র বড়ি সঠিকভাবে গ্রহণ করলে প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ কার্যকরী।
- সঠিকভাবে বড়ি খেলে এটি অত্যন্ত কার্যকারী (শতকরা ৯৭-৯৯.৯ ভাগ)।
- ৯ শতাংশ মহিলা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসাবে খাবার বড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
কোন ক্ষেত্রে ওপিল খেলে কি দাগ হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পিল গ্রহণ করা উচিত যাতে কোনো চিকিৎসকীয় জটিলতা না হয়।
পিলের প্রভাব ও শারীরিক পরিবর্তন
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল নিলে আপনার শরীরে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। এই পরিবর্তন সাধারণত মাঝারি স্তরের। সময়ের সাথে সাথে এগুলো কমে যায়।
ওজন পরিবর্তন, হরমোনাল পরিবর্তন এবং মাসিক চক্রের পরিবর্তন হতে পারে।
ওজন পরিবর্তন
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল নিলে ওজন কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। এটা পানির রিটেনশন এবং স্নায়ুসম্পর্কিত পরিবর্তনের কারণে।
সাধারণত এই ওজন বৃদ্ধি বেশি হতে পারে না। পিল ব্যর্থ হলে এটা কমে যায়। ওপিল খেলে কি ওজন বাড়ে এই প্রশ্নের উত্তর হল হ্যা, কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
হরমোনাল পরিবর্তন
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলে ব্যবহৃত হরমোনগুলি আপনার শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে পরিবর্তন আনতে পারে। এতে অ্যাকনী, মাথাব্যথা, সংক্রমণ এবং ওপিল কি ব্রণের জন্য ভালো হতে পারে।
এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত মাঝারি স্তরের। সময়ের সাথে সাথে এগুলো কমে যায়।
যদি আপনার বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন দেখা যায় বা অস্বস্তিকর লক্ষণ অনুভব করেন তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তাঁর সাথে আলোচনা করে আপনার জন্য উপযুক্ত কোন প্রকার পিল নির্বাচন করা যেতে পারে।
FAQ
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল কোনটি?
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল পাওয়া যায়। সর্বোত্তম পিল নির্বাচন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থার উপর নির্ভর করে।
কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সবচেয়ে কম?
প্রোজেস্টিন-অনলি পিল বা মিনি পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে কম।
মিনি পিল কিভাবে কাজ করে?
মিনি পিল প্রোজেস্টেরন হরমোন দিয়ে তৈরি। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নির্গমন প্রতিরোধ করে।
মিনি পিল কখন বন্ধ করতে হয়?
মিনি পিল বন্ধ করার সময় মাসিকের চক্রের প্রথম দিনে শুরু করা উচিত।
ওপিল খেলে কি পিরিয়ড বন্ধ হয়?
নিয়মিত ওপিল খেলে মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রিত হয়। কখনও কখনও মাসিক বন্ধ হতে পারে।
ওপিল কি সত্যিই কাজ করে?
হ্যাঁ, ওপিল সত্যিই কাজ করে। এটি গর্ভধারণ প্রতিরোধে কার্যকর।
ভারী মাসিক হলে ওপিল খাওয়া যাবে কি?
ভারী মাসিকের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওপিল খাওয়া যেতে পারে।
ওপিল খেলে কি দাগ হয়?
কিছু ক্ষেত্রে ওপিল খাওয়ার শুরুতে অনিয়মিত রক্তস্রাব বা দাগ দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণত কয়েক মাসের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
পিল খেলে কি গর্ভবতী হওয়া যায়?
সঠিকভাবে ব্যবহার করলে পিলের সফলতার হার ৯৯%। তবে ভুল ব্যবহারে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ওপিল কখন খাওয়া উচিত?
ওপিল মাসিকের চক্রের প্রথম দিন থেকে খাওয়া শুরু করা উচিত। প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
পুরুষ ওপিল খেলে কি হয়?
পুরুষদের জন্য ওপিল নেই এবং তাদের খাওয়া উচিত নয়।
ওপিল কাদের খাওয়া উচিত নয়?
গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী মা এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা আছে এমন নারীদের পিল খাওয়া উচিত নয়।
ওপিল কি ব্রণের জন্য ভালো?
কিছু ক্ষেত্রে পিল ব্রণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ওপিল খেলে কি ওজন বাড়ে?
কিছু নারীর ক্ষেত্রে পিল খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে।