ইতিহাসের জনক কে কেমন হতে পারে তা আলোচনা করা হয়েছে। প্রাচীন গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসকে এই শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল। তিনি “ইতিহাস” নামের একটি বিখ্যাত গ্রন্থ লিখেছিলেন।
জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন রেংককে আধুনিক ইতিহাসের জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি “সমালোচনামূলক পদ্ধতি” নামে একটি নতুন পদ্ধতি চালু করেছিলেন।
বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক হলেন থুকিডাইডিস। আরব ঐতিহাসিক ইবনে খালদুনকে সামাজিক ইতিহাসের জনক হিসেবে দেখা হয়। ইতালীয় দার্শনিক ও ঐতিহাসিক জিওভান্নি বাতিস্তা ভিকোকে সাংস্কৃতিক ইতিহাসের জনক হিসেবে বিবেচিত হয়।
ইতিহাসের জনক কে কোন দেশের নাগরিক তা আলোচনা করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক কে, ইসলামের ইতিহাসের জনক কে, প্রাচীন ইতিহাস তত্ত্বের জনক কে, ভূগোলের জনক কে, অর্থনীতির জনক কে, বাংলাদেশের ইতিহাসের জনক কে এই বিষয়গুলি আলোচনা করা হয়েছে এই প্রবন্ধে।
হেরোডোটাস: ইতিহাসের জনক
প্রাচীন গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস (খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৪-৪২৫) কে “ইতিহাসের জনক” বলা হয়। তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ “ইতিহাস” (Ἱστορίαι) লিখেছেন। এই গ্রন্থে তিনি পারস্য-গ্রীক যুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
হেরোডোটাস তুর্কি বর্তমান তুর্কি অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৪ থেকে ৪২৫ সাল পর্যন্ত তিনি বেঁচে ছিলেন। তিনি একটি প্রভাবশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন একজন সংবাদদাতা, ভ্রমণকারী এবং ঐতিহাসিক। হেরোডোটাস লিবিয়া থেকে ভারত পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন। তাঁর রচনায় নানা আকার-প্রকারের প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহাসিক সংঘটন লিপিবদ্ধ করেছেন।
তিনি তাঁর ঐতিহাসিক গবেষণায় সাক্ষ্যপ্রমাণ, সাক্ষাৎকার এবং ভ্রমণে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করেছেন। এদিকে, তিনি দেবতাদের হস্তক্ষেপের পরিবর্তে মানব প্রকৃতি, রাজনৈতিক স্বার্থ ও সামরিক শক্তির মতো প্রাকৃতিক কারণগুলিতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন।
গ্রীক ঐতিহাসিক হিসেবে হেরোডোটাসের ভূমিকা এবং তাঁর রচনা “ইতিহাস” (Ἱστορίαι) অনেকগুলি আধুনিক ইতিহাস গবেষণার জন্য মৌলিক সূত্র হিসেবে পরিগণিত। তাই তাঁকে “ইতিহাসের জনক” বলে আখ্যায়িত করা হয়।
হেরোডোটাস তার গবেষণায় সাক্ষ্যপ্রমাণ, সাক্ষাৎকার এবং ভ্রমণের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করেছিলেন। এছাড়াও, তিনি দেবতাদের হস্তক্ষেপের পরিবর্তে মানব প্রকৃতি, রাজনৈতিক স্বার্থ এবং সামরিক শক্তির মতো প্রাকৃতিক কারণগুলিতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন। এতে করে তাঁর গবেষণা একটি নিরপেক্ষ এবং উদ্দেশ্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিচ্ছবি বহন করে।
ঐতিহাসিক গবেষণার পদ্ধতি
প্রাচীন গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৪-৪২৫ সালে জীবিত ছিলেন। তিনি সাক্ষ্যপ্রমাণ, সাক্ষাৎকার এবং ভ্রমণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য এবং পরিদর্শকদের সাক্ষাৎকারের উপর বেশি গুরুত্ব দিতেন।
ঐতিহাসিক গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো বর্তমানের সাথে অতীতকে প্রাসঙ্গিক করে তোলা। এই গবেষণায় লিখিত উপাত্ত, প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য এবং সাক্ষাৎকার থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়। গবেষণাকারীদের লক্ষ্য হচ্ছে ইতিহাস বোঝা এবং বর্তমানকে সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করা।
ঐতিহাসিক গবেষণা একটি জটিল এবং বহুমুখী প্রক্রিয়া। এতে লিখিত ইতিহাস, প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য এবং সাক্ষাৎকারের উপাত্ত ব্যবহার করা হয়। গবেষণাকারীদের তাদের নিজস্ব বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে ইতিহাসকে বুঝতে এবং উপস্থাপন করতে হয়। বিভিন্ন সহযোগী বিষয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ঐতিহাসিক গবেষণা সম্পূর্ণ হয়।
মানব প্রকৃতি ও রাজনৈতিক স্বার্থের কারণ বিশ্লেষণ
হেরোডোটাস বিশ্বাস করতেন যে মানুষের কর্ম এবং স্বার্থ ইতিহাস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি মানুষের প্রকৃতি এবং রাজনৈতিক স্বার্থের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সামরিক শক্তি এবং প্রাকৃতিক কারণগুলি ইতিহাসের পেছনে প্রধান চালক।
হেরোডোটাস মানুষের কর্মকাণ্ড এবং স্বার্থকে ইতিহাসের প্রধান চালক হিসাবে দেখতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে রাজনীতিতে ক্ষমতা এবং সহিংসতা স্বাভাবিক।
নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি, থমাস হবস এবং হ্যারল্ড ল্যাজওয়েল একই ধরনের বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করেছেন। তারা রাজনীতিতে ফলাফলকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা সহিংসতা এবং ক্ষমতার ব্যবহারকে স্বাভাবিক মনে করেছেন।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক নৈতিকতাবাদীরা নীতিশাস্ত্র এবং রাজনীতির মধ্যে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেন। তারা রাজনীতিকে আদর্শ চিন্তার ক্ষেত্রে পরিগণিত করেন।
উদ্দেশ্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি
প্রাচীন গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে মতাদর্শগত অথবা রাজনৈতিক স্বার্থের প্রভাব পরিত্যাগ করেছিলেন। তিনি ঘটনাগুলির যথার্থ বিশ্লেষণ করেছিলেন।
হেরোডোটাস তার বিখ্যাত “ইতিহাস” গ্রন্থে পারস্য-গ্রীক যুদ্ধের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। সেই যুদ্ধের মূল কারণ ও পরিণাম সম্পর্কে একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনাগুলির প্রকৃত রূপ তুলে ধরেছিলেন।
নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দেশ্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি হেরোডোটাসের ঐতিহাসিক লেখনির প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল। তিনি দৃষ্টিকোণ থেকে এক এবং বহুমুখী বিশ্লেষণ করে ঘটনাগুলির সত্যতা ও গভীরতা অন্বেষণ করেছিলেন।
এভাবে হেরোডোটাস ঐতিহাসিক গবেষণাকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন। পরবর্তী যুগের ঐতিহাসিকদের জন্য তিনি একটি প্রেরণাদায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের মঞ্চ প্রস্তুত করেছিলেন যেখানে ব্যক্তিগত পক্ষপাতহীনতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লিওপোল্ড ভন রেংক: আধুনিক ইতিহাসবিদ্যার জনক
জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন রেংক (১৭৯৫-১৮৮৬) একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তিনি ইতিহাসবিদ্যায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং পদ্ধতির সূচনা করেন। এই পদ্ধতিটি পরবর্তী কালের ইতিহাস গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুনঃ ভূগোলের জনক কে
লিওপোল্ড ফন রেংক এবং আধুনিক ইতিহাসবিদ্যা
লিওপোল্ড ফন রেংক (১৭৯৫-১৮৮৬) একজন জার্মান ঐতিহাসিক। তিনি “আধুনিক ইতিহাসের জনক” হিসেবে পরিচিত। তিনি ইতিহাসবিদ্যায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও পদ্ধতির প্রবর্তন করেছিলেন।
রেংকের প্রধান অবদান হল ‘সমালোচনামূলক পদ্ধতি’র সূচনা। এটি ঐতিহাসিক উৎসগুলির যথাযথ যাচাই ও বিশ্লেষণের উপর জোর দেয়।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে ঐতিহাসিকদের নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ হওয়া উচিত। ব্যক্তিগত পক্ষপাতকে প্রভাবিত হতে দেওয়া উচিত নয়।
রেংকের ইতিহাস গবেষণার পদ্ধতি ইতিহাসবিদ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। আধুনিক ইতিহাসবিদ্যা গবেষণায় তার অবদান গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
ইতিহাসবিদ্যায় রেংকের প্রভাব
- সমালোচনামূলক পদ্ধতির সূচনা করেছিলেন
- ঐতিহাসিক উৎসগুলির যথাযথ যাচাই ও বিশ্লেষণের গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন
- ইতিহাসিকদের নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন
- আধুনিক ইতিহাসবিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন
লিওপোল্ড ফন রেংক এর অবদানের কারণে তিনি “আধুনিক ইতিহাসবিদ্যার জনক” হিসেবে পরিচিত। তার অবদান ইতিহাস গবেষণার ক্ষেত্রে এখনও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
সমালোচনামূলক পদ্ধতি
লিওপোল্ড ফন রেংক (১৭৯৫-১৮৮৬) একটি নতুন ঐতিহাসিক পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। এই পদ্ধতিতে ঐতিহাসিক উৎসগুলির যথাযথ যাচাই এবং বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ। রেংক বলেন, সমালোচনামূলক পদ্ধতিতে ঐতিহাসিক তথ্য এবং সাক্ষ্যের সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই পদ্ধতিটি ঐতিহাসিক গবেষণাকে নতুন দিকে নিয়ে আসে। রেংক বিশ্বাস করতেন যে ঐতিহাসিক তথ্যের সঠিক বিশ্লেষণ ইতিহাস রচনার জন্য অপরিহার্য। তাই, সমালোচনামূলক পদ্ধতিতে উৎসগুলি পরীক্ষা করা এবং যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
এই পদ্ধতিটি আধুনিক ইতিহাস গবেষণার মূলভিত্তি। রেংকের নতুন পদ্ধতি আধুনিক ইতিহাসবিদ্যার প্রধান আদর্শ হয়ে উঠেছে।
নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার গুরুত্ব
লিওপোল্ড ফন রেংক বিশ্বাস করতেন যে ঐতিহাসিকদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত। তিনি বলতেন, তাঁরা ব্যক্তিগত পক্ষপাত ছাড়াই প্রমাণ এবং তথ্যের উপর নির্ভর করতে হবে।
নিরপেক্ষতার গুরুত্ব
রেংক বিশ্বাস করতেন যে নিরপেক্ষতা ঐতিহাসিক গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করতেন, ঐতিহাসিকদের সমাজ এবং রাজনীতির পক্ষপাত থাকা উচিত না। বরং, তাঁরা পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে।
বস্তুনিষ্ঠতার প্রয়োজনীয়তা
রেংক বিশ্বাস করতেন যে বস্তুনিষ্ঠতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি মনে করতেন, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে ঐতিহাসিকদের কোনো পক্ষপাত থাকা উচিত না। বরং, তাঁরা সঠিক এবং নিরপেক্ষ প্রমাণ ভিত্তিক বিশ্লেষণ করতে হবে।
রেংক এই মতবাদের প্রতিষ্ঠা করে ঐতিহাসিক গবেষণায় এক নতুন দিগ্বিজয় সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর মূল্যবান অবদান হল, ঐতিহাসিক তথ্য ও তার যাচাই প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা এবং বস্তুনিষ্ঠতার প্রয়োজনীয়তা প্রতিষ্ঠা করা।
আরও পড়ুনঃ হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল
আধুনিক ইতিহাসের জনক কে?
আধুনিক ইতিহাসের জনক হিসেবে কয়েকজন ব্যক্তি বিবেচিত হয়। এঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন হেরোডোটাস, লিওপোল্ড ফন রেংক, ইবনে খালদুন, জিওভান্নি বাতিস্তা ভিকো এবং থুসিডাইডিস। এঁরা ইতিহাসবিদ্যার নতুন পদ্ধতি উন্মোচন করেছেন। এবং ইতিহাসের বিশ্লেষণে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছেন।
হেরোডোটাস গ্রীক ঐতিহাসিক ছিলেন। তিনি তার “ইতিহাস” নামক গ্রন্থে পারস্য-গ্রীক যুদ্ধ সম্পর্কে লিখেছেন। লিওপোল্ড ফন রেংক এই আধুনিক ইতিহাসের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি “সমালোচনামূলক পদ্ধতি” নামে একটি নতুন ঐতিহাসিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
সামাজিক ইতিহাসের জনক কে?
ইবনে খালদুন সামাজিক ইতিহাসের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাস উপস্থাপন করেছেন। অন্যদিকে, জিওভান্নি বাতিস্তা ভিকো এবং থুসিডাইডিস গ্রীক এবং বিশ্বের ইতিহাসের জনক হিসেবে বিখ্যাত।
এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ইতিহাস অধ্যয়নে নতুন প্রণালী এবং দৃষ্টিভঙ্গি উন্মোচন করেছেন। তাঁদের অবদানের ফলে, আমরা আজকের দিনে বিশ্বের ইতিহাস সম্পর্কে বেশ ভালোভাবে জানতে পারি।
ইবনে খালদুন ও সামাজিক ইতিহাসবিদ্যা
আরব ঐতিহাসিক এবং দার্শনিক ইবনে খালদুন (১৩৩২-১৪০৬) কে “সামাজিক ইতিহাসের জনক” বলা হয়। তিনি “আল-মুকাদ্দিমা” নামের একটি বই লিখেছেন। এটি সামাজিক ইতিহাসের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেছে।
ইবনে খালদুন মানুষের সমাজের উন্নয়ন ও পতনের উপর আগ্রহী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সমাজ পরিবর্তনশীল এবং অগতানুগতিক।
তিনি সমাজের পরিবর্তন এবং দ্বন্দ্বের কারণগুলি বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে সমাজ এবং সভ্যতা নিজেদের গতিশীলতা ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
ইবনে খালদুন ছিলেন একজন নৈতিক দার্শনিক। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ইতিহাসের মাধ্যমে বিশ্বের সত্য আবিষ্কার করা যায়।
তিনি বলেছেন যে ইতিহাসের আলোকে আমরা মানব জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গভীরতর বুঝতে পারি।
FAQ
কোন ব্যক্তিকে “ইতিহাসের জনক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
প্রাচীন গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসকে “ইতিহাসের জনক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কোন ব্যক্তিকে “বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক” হিসেবে গণ্য করা হয়?
থুসিডাইডিসকে “বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক” হিসেবে গণ্য করা হয়।
কোন ব্যক্তিকে “সামাজিক ইতিহাসের জনক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
আরব ঐতিহাসিক ইবনে খালদুনকে “সামাজিক ইতিহাসের জনক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কোন ব্যক্তিকে “সাংস্কৃতিক ইতিহাসের জনক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
ইতালীয় দার্শনিক ও ঐতিহাসিক জিওভান্নি বাতিস্তা ভিকোকে “সাংস্কৃতিক ইতিহাসের জনক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কাকে “আধুনিক ইতিহাসের জনক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন রেংককে “আধুনিক ইতিহাসের জনক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
হেরোডোটাসের ঐতিহাসিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
হেরোডোটাস তার গবেষণায় সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং সাক্ষাৎকার ব্যবহার করেছিলেন। তিনি প্রত্যক্ষ সাক্ষ্যের উপর বেশি জোর দিয়েছিলেন।
হেরোডোটাসের ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
হেরোডোটাস মানুষের প্রকৃতি এবং রাজনৈতিক স্বার্থের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন। তিনি দেবতাদের হস্তক্ষেপ না করে সামরিক শক্তির উপর বেশি জোর দিয়েছিলেন।
লিওপোল্ড ফন রেংক কী প্রধান পদ্ধতি বিকশিত করেছিলেন?
লিওপোল্ড ফন রেংক “সমালোচনামূলক পদ্ধতি” বিকাশ করেছিলেন। এই পদ্ধতিতে উৎসগুলির যথাযথ যাচাই এবং বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
লিওপোল্ড ফন রেংকের ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল?
রেংক বিশ্বাস করতেন যে ঐতিহাসিকদের নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ থাকা উচিত। ব্যক্তিগত পক্ষপাত তার কাজে প্রভাব ফেলতে দেওয়া উচিত না।
আধুনিক ইতিহাসের জনক কারা?
আধুনিক ইতিহাসের জনক হিসেবে হেরোডোটাস, লিওপোল্ড ফন রেংক, ইবনে খালদুন, জিওভান্নি বাতিস্তা ভিকো, এবং থুসিডাইডিস বিবেচিত হন।