মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা কে | Who is the founder of Microsoft

মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা কে, চলুন জেনে নি মাইক্রোসফট এঁর প্রতিষ্ঠাতা কে। আজকের পোস্ট টি মন দিয়ে পড়লে অনেক কিছু বুঝতে পারবেন আশা করি । মাইক্রোসফটের দুইজন প্রতিষ্ঠাতা আছেন:

  • বিল গেটস: তিনি মাইক্রোসফটের প্রধান স্থপতি এবং প্রাক্তন সিইও। তিনি 1975 সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পল অ্যালেনের সাথে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন।
  • পল অ্যালেন: তিনি মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সভাপতি। তিনি বিল গেটসের বন্ধু এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ছিলেন।

মাইক্রোসফটের ইতিহাস

  • 1975 সালে: বিল গেটস এবং পল অ্যালেন Altair 8800 মাইক্রোকম্পিউটারের জন্য BASIC নামক একটি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করেন।
  • 1975 সালে: তারা Microsoft নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং Altair 8800 এর জন্য BASIC বিক্রি শুরু করেন।
  • 1980 সালে: IBM Microsoft কে তাদের IBM PC এর জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেম সরবরাহ করার জন্য নির্বাচন করে।
  • 1985 সালে: Microsoft Windows 1.0 প্রকাশ করে, যা তাদের প্রথম গ্রাফিক্যাল ব্যবহারকারী ইন্টারফেস (GUI) অপারেটিং সিস্টেম।
  • 1990-এর দশক: Microsoft Windows অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে প্রভাবশালী অবস্থান অর্জন করে।
  • 2000 সালের দশক: Microsoft Office স্যুট, Xbox ভিডিও গেম কনসোল এবং Zune মিডিয়া প্লেয়ার সহ বিভিন্ন পণ্য বাজারে আনে।
  • 2010 সালের দশক: Microsoft কম্পিউটিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মোবাইল ডিভাইস-এর উপর মনোযোগ দেয়।

বর্তমানে

  • Microsoft বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি।
  • Satya Nadella 2014 সাল থেকে কোম্পানির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য যে, বিল গেটস এবং পল অ্যালেন মাইক্রোসফটের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারা উদ্ভাবনী, ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং দূরদর্শিতার মাধ্যমে কোম্পানিকে একটি বিশ্বব্যাপী শক্তিতে পরিণত করেছেন।

মাইক্রোসফট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা কে

মাইক্রোসফট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

মাইক্রোসফট ১৯৭৫ সালের ৪ঠা এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। বিল গেটস এবং পল অ্যালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের আলবুকার্ক শহরে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রাথমিকভাবে, মাইক্রোসফট Altair 8800 মাইক্রোকম্পিউটারের জন্য BASIC নামক একটি প্রোগ্রামিং ভাষা বিক্রি করে। ১৯৮০ সালে, IBM তাদের IBM PC এর জন্য অপারেটিং সিস্টেম সরবরাহ করার জন্য মাইক্রোসফটকে নির্বাচন করে। এটি মাইক্রোসফটের জন্য একটি বড় সাফল্য ছিল এবং তাদের কম্পিউটার শিল্পে একটি প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

মাইক্রোসফট পরবর্তীতে Windows অপারেটিং সিস্টেম, Office স্যুট, Xbox ভিডিও গেম কনসোল এবং আরও অনেক কিছু সহ বিভিন্ন সফল পণ্য বাজারে আনে। বর্তমানে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি।

আরও পড়ুনঃ ইন্টারনেট কি | WHAT IS INTERNET

মাইক্রোসফট এক্সেল এর কাজ কি?

মাইক্রোসফট এক্সেল হলো একটি স্প্রেডশিট অ্যাপ্লিকেশন যা ডেটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং ভিজ্যুয়ালাইজেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন ধরণের কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

ডেটা সংগ্রহ: এক্সেল আপনাকে টেবিল তৈরি করে সংখ্যাসূচক এবং পাঠ্য ডেটা উভয়ই সংগ্রহ করতে দেয়। আপনি বিভিন্ন উৎস থেকে ডেটা আমদানি করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে CSV ফাইল, টেক্সট ফাইল এবং এমনকি অন্যান্য স্প্রেডশিট।

ডেটা বিশ্লেষণ: এক্সেল বিভিন্ন ধরণের সূত্র এবং ফাংশন সরবরাহ করে যা আপনাকে আপনার ডেটা বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করতে পারে। আপনি গড়, মোট, গণনা এবং আরও অনেক কিছু খুঁজে পেতে পারেন। আপনি ডেটা ফিল্টার এবং সাজাতে পারেন এবং ট্রেন্ড এবং প্যাটার্ন চিহ্নিত করতে চার্ট এবং গ্রাফ তৈরি করতে পারেন।

ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন: এক্সেল আপনাকে আপনার ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজ করতে চার্ট, গ্রাফ এবং অন্যান্য ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন তৈরি করতে দেয়। এটি আপনার ডেটার ট্রেন্ড এবং প্যাটার্ন আরও সহজে বুঝতে সহায়তা করতে পারে।

অন্যান্য কাজ: এক্সেল বিভিন্ন ধরণের অন্যান্য কাজের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে বাজেট তৈরি করা, টাস্ক তালিকা তৈরি করা এবং প্রকল্পগুলি ট্র্যাক করা।

মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ:

  • ব্যবসায়: ব্যবসাগুলি বিক্রয় ট্র্যাক করার জন্য, আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য, এবং তাদের বাজার পরিকল্পনাগুলি বিশ্লেষণ করার জন্য এক্সেল ব্যবহার করে।
  • শিক্ষা: শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গ্রেড ট্র্যাক করার জন্য, পরীক্ষা তৈরি করার জন্য এবং ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন তৈরি করার জন্য এক্সেল ব্যবহার করে।
  • বিজ্ঞান: বিজ্ঞানীরা পরীক্ষার ডেটা সংগ্রহ করার জন্য, ডেটা বিশ্লেষণ করার জন্য এবং গ্রাফ এবং চার্ট তৈরি করার জন্য এক্সেল ব্যবহার করে।
  • ব্যক্তিগত ব্যবহার: লোকেরা তাদের ব্যক্তিগত অর্থ ট্র্যাক করার জন্য, বাজেট তৈরি করার জন্য এবং টু-ডু তালিকা তৈরি করার জন্য এক্সেল ব্যবহার করে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কি ?

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড হলো মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের একটি জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসিং অ্যাপ্লিকেশন যা ব্যবহারকারীদের নথি তৈরি, সম্পাদনা এবং ফরম্যাট করতে দেয়। এটি ব্যক্তিগত এবং পেশাদার উভয় কাজের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ওয়ার্ডের কিছু মূল বৈশিষ্ট্য:

  • নথি তৈরি: চিঠি, রিপোর্ট, প্রবন্ধ, বুকলেট, পোস্টার, ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরণের নথি তৈরি করতে ওয়ার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • সম্পাদনা: আপনি ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার নথির টেক্সট ফরম্যাট করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে ফন্ট পরিবর্তন করা, ফন্টের আকার পরিবর্তন করা, বোল্ড এবং ইটালিক যোগ করা এবং আরও অনেক কিছু।
  • ফরম্যাটিং: আপনি ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার নথির চেহারা ফরম্যাট করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে মার্জিন সেট করা, ইনডেন্টেশন যোগ করা, বুলেট পয়েন্ট এবং নম্বরিং যোগ করা এবং আরও অনেক কিছু।
  • টেবিল এবং চার্ট তৈরি: আপনি ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার নথিতে টেবিল এবং চার্ট তৈরি করতে পারেন।
  • স্পেলিং এবং ব্যাকরণ পরীক্ষা: ওয়ার্ডে একটি স্পেলিং এবং ব্যাকরণ পরীক্ষক রয়েছে যা আপনাকে আপনার নথিতে ভুল ধরতে সাহায্য করতে পারে।
  • টেমপ্লেট ব্যবহার: আপনি ওয়ার্ডে বিভিন্ন ধরণের নথির জন্য টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনাকে সময় বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
  • অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের সাথে সহযোগিতা: আপনি ওয়ার্ড ব্যবহার করে অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের সাথে সহযোগিতা করতে পারেন, যেমন মাইক্রোসফট আউটলুক এবং মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ:

  • ছাত্ররা ওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রবন্ধ, রিপোর্ট এবং অন্যান্য স্কুল অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে পারে।
  • ব্যবসায়ীরা ওয়ার্ড ব্যবহার করে চিঠি, প্রস্তাব, রিপোর্ট এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক নথি তৈরি করতে পারে।
  • লেখকরা ওয়ার্ড ব্যবহার করে বই, নিবন্ধ এবং অন্যান্য ধরণের লেখা তৈরি করতে পারে।
  • ফ্রিল্যান্সাররা ওয়ার্ড ব্যবহার করে রিপোর্ট, প্রেজেন্টেশন এবং অন্যান্য ডেলিভারেবল তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ হার্ডওয়্যার কি ? WHAT IS HARDWARE?

মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট কি?

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট হলো মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের একটি জনপ্রিয় প্রেজেন্টেশন সফ্টওয়্যার যা ব্যবহারকারীদের স্লাইড শো তৈরি, সম্পাদনা এবং উপস্থাপন করতে দেয়। এটি ব্যবসা, শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

পাওয়ারপয়েন্টের কিছু মূল বৈশিষ্ট্য:

  • স্লাইড তৈরি: আপনি পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে টেক্সট, ছবি, ভিডিও, অডিও এবং চার্ট সহ স্লাইড তৈরি করতে পারেন।
  • স্লাইড ফরম্যাটিং: আপনি পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে আপনার স্লাইডের চেহারা ফরম্যাট করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে থিম এবং টেমপ্লেট ব্যবহার করা, ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করা এবং টেক্সট ফরম্যাট করা।
  • অ্যানিমেশন এবং ট্রানজিশন: আপনি পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে আপনার স্লাইডে অ্যানিমেশন এবং ট্রানজিশন যোগ করতে পারেন।
  • মাল্টিমিডিয়া যোগ করা: আপনি পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে আপনার স্লাইডে ভিডিও, অডিও এবং ছবি যোগ করতে পারেন।
  • চার্ট এবং গ্রাফ তৈরি: আপনি পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে আপনার ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজ করার জন্য চার্ট এবং গ্রাফ তৈরি করতে পারেন।
  • স্লাইড শো উপস্থাপন: আপনি পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে অন্যদের কাছে আপনার স্লাইড শো উপস্থাপন করতে পারেন।

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ:

  • ব্যবসায়ীরা পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদের সাথে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করতে, কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ তৈরি করতে এবং বাজারজাতকরণ উপকরণ তৈরি করতে পারে।
  • শিক্ষকরা পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করতে, উপস্থাপনা দিতে এবং ক্লাসের কার্যক্রম তৈরি করতে পারে।
  • ছাত্ররা পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করে প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে, রিপোর্ট উপস্থাপন করতে এবং গ্রুপ প্রকল্পে সহযোগিতা করতে পারে।

উপসংহার

আজকে আমরা জানতে পারলাম মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা কে এবং  মাইক্রোসফট বরতমানে আমাদের জিবনে কি কি কাজে লাগে । আশা করসি আজকের এই পোস্ট টি আপানাদের ভাল লেগেছ। আর ভাল লেগে থাকলে পোস্ট টি শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Share your love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *